মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন নতুন মাত্রা পেয়েছে, যখন ৭৪ জন প্রার্থীর প্রশিক্ষণের পরও তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার পালা স্থবির হয়ে উঠল। কী বিচিত্র, একদিকে সরকার চাকরি দেবে, অন্যদিকে প্রয়োজনে লোকজনের আগ্রহও টানতে পারছে না! যেন নাদান নাটকের পাণ্ডিত্য; এখানে নেতৃত্বের গুণাবলী পরীক্ষার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘটনা: রাজনীতির মঞ্চে অস্বস্তি
গত সেপ্টেম্বর মাসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৭৪ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একটি এজেন্সি। এ বিজ্ঞপ্তি যেন নাটকের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, যেখানে নতুন চরিত্র হিসেবে ‘নিরাপত্তা’ উপস্থাপন হয়েছে। তবে, প্রশ্ন উঠছে—নিরাপত্তারক্ষীরা কেবল পদের স্বপ্ন দেখার জন্য আবেদন করেন, নাকি সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে আলোড়িত করার ব্রত নিয়ে আসেন?
প্রশিক্ষণ ও বাস্তবতার সংঘাত
শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি—এই তিন শব্দ যেন রাজনীতির ঘন অরণ্যে ঘুরপাক খায়। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে কি হবে, মঙ্গলবার কর্মসমুদ্রের প্রথম দিনেই দেখা গেল অদ্ভুত সমস্যা। কেন এত কূটনীতি সামনে আসছে, যাতে যুবকদের কাজের সুযোগ দিতে হচ্ছে না? বেশিরভাগ যুবক প্রশ্ন তুলেছেন, “আমাদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি মিলবে কি?” প্রশিক্ষণের কথায় সত্যিই ‘লবণের জল’ হয়ে গেছে, সফলতার জন্য সঠিক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন জরুরি।
রাজনৈতিক চাপ ও জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
রাজনীতির বাদল-মেঘ এবং চাপের বর্ষণে আমাদের স্বপ্ন কি অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে? মেদিনীপুরের ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপত্তার কথা বলেন, কিন্তু তাদের নিজেদের নিরাপত্তার কথা কি হবে? রাজনৈতিক দুর্নীতি কি যুবকদের ওপর কাজের সুযোগ প্রাপ্তিতে বাধা দেয়, সেটি ভাবনার বিষয়। রাজনীতিবিদরা তরুণ দায়িত্বশীলতার কথা বললেও, যখন চাকরির সংখ্যা কমছে, তখন ‘সবকিছু’ শব্দটি আসলে অর্থহীন মনে হতে পারে।
জনতার ক্রোধের প্রকাশ
এটা অস্বীকার করার নয় যে, যখন জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তখন তারা প্রতিবাদে মুখর হয়। ‘#JusticeForSecurityGuards’ হ্যাশট্যাগটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। এটি নির্দেশ করে যে রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের তরুণ ভোটারদের প্রতি নজর দিতে হবে। তাদের অবস্থান কি কেবল নিজেদের স্বার্থে, না কি সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু করার জন্য?
পূর্বের ঘটনার সাথে তুলনা
এই অবস্থায় পূর্ববর্তী ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। গত বছর বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল, কিন্তু ঐ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তখন প্রশ্ন উঠছে—রাজনৈতিক নেতা কি কেবল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নাকি মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা? নেতৃত্বের মানে কি সমাজের উন্নয়নে কাজ করা নয়? যদি সরকার এটি ভুলে যায়, তবে মেদিনীপুরের যুবকেরা তাদের কষ্টের মূল্য নিতে প্রত্যাশা করতেই থাকবে।
ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপের সময়
নিরাপত্তারক্ষীদের এই ঘটনা কি আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন চরিত্রের দ্বন্দ্ব চলছে, যেখানে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সংঘাত ধারণা করা হচ্ছে। যুবকদের সঠিকভাবে কাজের সুযোগ দিয়ে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা আশা করতে পারি একদিন রাজনীতির অভিজ্ঞান পরিবর্তিত হবে। পরিবর্তনের মূল চাবি যদি আমাদের হাতে থাকে, তবে নতুন দিনের সূচনা নিশ্চিত।