দর্শকদের জন্য এক নতুন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে—‘সিংঘাম এগেন’ এবং ‘ভূল ভূলাইয়া ৩’! দুটো ব্লকবাস্টার সিনেমার মধ্যে শো ভাগাভাগি হয়েছে ৬০:৪০। উচ্চ টিকিট দরের মধ্যে দর্শকদের আগ্রহের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট চড়া মুনাফা ও ভিন্ন দর্শকপ্রতিক্রিয়া সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা জাগিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পের এই নতুন পরিস্থিতি কি আধুনিক গল্প বলার পদ্ধতির পরিবর্তন নির্দেশ করছে?
বক্স অফিসের জমজমাট দ্বন্দ্ব: সিংঘাম এগেন বনাম ভূত ভূলাইয়া ৩
বলিউডের দর্শকদের জন্য এক বৃহৎ ঘটনা অপেক্ষা করছে, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চলতে যাচ্ছে সিংঘাম এগেন এবং ভূত ভূলাইয়া ৩-এর মধ্যে এক তীব্র প্রতিযোগিতা। এই দুই ব্লকবাস্টার ছবির জন্য উত্তেজনা তুঙ্গে। তবে, শো-শেয়ারিং সমস্যার জন্য প্রদর্শনী সেক্টর কিছুটা বিপদে ছিল।
অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে বৃহস্পতিবার রাতে এই সংকট সমাধান হবে, ঠিক যেমনটি হয়েছিল ২০২১ সালের দীপাবলিতে সুর্যবংশী এবং ইটারনালস-এর মধ্যে। কিন্তু কার্যতূলে মঙ্গলবার রাতের এক সুখকর বাঁক নিয়ে শো-শেয়ারিং সমস্যা শেষ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুই ছবির জন্য এডভান্স বুকিং খোলা হয়ে গেছে।
শো বিতরণ: সিংঘাম এগেনের দিকে ঝুঁকছে পাল্লা
বলিউড হাঙ্গামার কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৬০% শো বরাদ্দ পেয়েছে সিংঘাম এগেন এবং ৪০% শো পেয়েছে ভূত ভূলাইয়া ৩। এই বিন্যাসটি সব প্রধান মাল্টিপ্লেক্সে যেমন PVR ইনক্স, মুভিম্যাক্স, NY সিনেমাস ইত্যাদিতে দেখা যাবে। তবে সিপোলিস থিয়েটারে সিংঘাম এগেনের জন্য ৫৮% শো বরাদ্দ করা হয়েছে, আর ভূত ভূলাইয়া ৩-র জন্য ৪২%।
একক স্ক্রীনে এই অনুপাতও ৬০:৪০ সিংঘাম এগেনের পক্ষে। এর মানে এই সিনেমা হলগুলো প্রতিদিন তিনটি শো সিংঘাম এগেনের এবং দুটি শো ভূত ভূলাইয়া ৩-এর প্রদর্শন করবে। কিছু একক স্ক্রীন শুধুমাত্র ৪টি শো করে থাকে, কিন্তু এই দীপাবলিতে তারা ৫টি শো প্রদর্শন করবে। রাজ মন্দির, জয়পুর এবং লিবার্টি, দিল্লির মতো আইকনিক সিনেমা বাড়তি শো প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শিল্পের সঙ্কট এবং টিকেটের অগ্নিমূল্য
কিন্তু, উৎস সূত্রের সূত্রপাত থেকে জানা যাচ্ছে, কিছু একক স্ক্রীন থিয়েটার সব শো ভূত ভূলাইয়া ৩-কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে সিংঘাম এগেনের ওপরেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি গত ক্রিসমাসে ডুঙ্কি এবং সালার-এর মধ্যে ঘটা ঐতিহাসিক সংঘর্ষের সময়ও ঘটেছিল।
এদিকে, সিংঘাম এগেন এবং ভূত ভূলাইয়া ৩ দেখতে গেলে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে, তা শুনলে অনেকের চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এই সিনেমাগুলোর টিকেট মূল্য অস্বাভাবিক উচ্চ। উদাহরণসরূপ, PVR মেয়সন, জিও ওয়ার্ল্ড ড্রাইভ, বি কে সি, মুম্বইতে সিংঘাম এগেনের রাতের শো-এর জন্য টিকেটের মূল্য ১০৮০ টাকায় উঠেছে। এই দুটি শো ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে বুকিং হচ্ছে, যা চাহিদার প্রতি একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়।
বঙ্গবন্ধু জনসাধারণের মনোজাগতিক পরিবর্তন
শেষের দিকে বললে, প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি সিংঘাম এগেন এবং ভূত ভূলাইয়া ৩ সম্মিলিতভাবে ১০০০ কোটি রুপি আয় করতে পারবে? এই দ্বন্দ্ব কি শুধুমাত্র চলচ্চিত্র প্রেমীদের মধ্যেই উত্তেজনা তৈরি করছে, নাকি সমাজে চলচ্চিত্রের একটি নতুন পৃষ্ঠা উন্মোচন করছে? জনসাধারণের পছন্দের পরিবর্তন কি এই চলচ্চিত্র দুইয়ের স্বীকৃতিতে এক নতুনত্ব আনবে?