আয়োধ্যার একত্রিত সংস্কৃতির মাঝে, অক্ষয় কুমারের সদিচ্ছা নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি ১ কোটি টাকার দান করে বানরদের আহারের ব্যবস্থা করেছেন, যা সমাজে নৈতিকতার গুরুত্বকে প্রমাণ করে। এই সংকটময় সময়ে তার উদারতার মানসিকতা সমস্ত বলিউড তারকাদের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সিনেমা ও সমাজের সংযোগকে নতুন করে ভাবনায় আনছে মানুষ।
Bollywood’s Benevolent Heart: Akshay Kumar’s Generosity Shines Amidst Controversies
আযোধ্যায় বিরাজমান বানরদের জন্য অক্ষয় কুমারের মহৎ উদ্যোগ নিয়ে খবরের ঝড় উঠেছে। অনজনেয়া সেবা ট্রাস্ট, যা জগতগুরু স্বামী রাঘবাচার্য জি মহারাজের নেতৃত্বে বানরদের খাদ্য সরবরাহের জন্য একটি মহান মিশন গ্রহণ করেছে, সম্প্রতি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের কাছে সহযোগিতার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছিল। ট্রাস্টের ঘোষণা অনুযায়ী, কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিদিন বানরদের খাওয়ানোর জন্য তারা যথাসম্ভব সহযোগিতা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, অক্ষয় কুমার বিনা দ্বিধায় এই প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং বানরদের খাবারের জন্য ১ কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য দানও করেছেন। যদিও বানরদের স্থানীয় সনাতন সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু আযোধ্যার শুদ্ধ পবিত্র স্থানে তাদের অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। অক্ষয় কুমার তাদের সহায়তার জন্য যেকোনো প্রয়াসে সামনে এসেছেন।
সমাজসেবার মানুষ: অক্ষয় কুমারের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি
অনজনেয়া সেবা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ত্রাসী প্রিয়া গুপ্ত মন্তব্য করেন, “আমি সবসময় অক্ষয় কুমারকে অত্যন্ত সদয় ও দানশীল ব্যক্তি হিসেবে জানি। এটি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিই প্রযোজ্য। তিনি কেবল দান করেননি, বরং তার মা-বাবা ও শ্বশুরের নামে এই মহান সেবায় নিজেকে নিবেদন করেছেন। অক্ষয় কুমার ভারতের একজন সামাজিকভাবে সচেতন নাগরিক, এবং তিনি নিশ্চিত করেছেন যে বানরদের খাওয়ানোর এই উদ্যোগের ফলে শহরের বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধা হবে না।”
ফিল্ম ইনডাস্ট্রির পটভূমিতে
অক্ষয় কুমার বর্তমানে “হাউসফুল ৫” সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করার কাজ করছেন, যা ২০২৫ সালের ৬ জুন মুক্তির জন্য নির্ধারিত। এই সিনেমাটি টারুন মানসুখানী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং এতে একটি বিশাল অভিনেতা দলের উপস্থিতি থাকবে। যেখানে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হচ্ছে, সেখানেও অক্ষয়ের প্রভাব কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির হতে চলেছে।
এদিকে, অর্শাদ ওয়ারসি সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সাথে তাঁর নতুন সিনেমা “জলি এলএলবি ৩” সম্পর্কে একটি টিজার প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি বলেন যে সিক্যুয়েলের স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি পুরোপুরি খুশি ছিলেন না। এটি দেখিয়ে দেয় যে বর্তমান বলিউডে কিভাবে দর্শকদের প্রত্যাশা এবং নির্মাতাদের উদ্দেশ্যগুলো তাদের লেখা এবং চরিত্রগুলি তৈরিতে প্রভাব ফেলে।
সমাজে সিনেমার প্রভাব: এক নতুন দিগন্তের সন্ধান
এখন যখন বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন অক্ষয় কুমারের এই ধরনের উদ্যোগ সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। সিনেমার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন তারকা, যিনি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন, এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে অক্ষয়ের এই মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা চলছে, যা সংলাপ ও চিন্তার উন্মেষ ঘটাচ্ছে। দর্শকরা এখন শুধু বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখেন না, বরং তারা সিনেমার মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন এবং তার মধ্যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির স্বীকৃতিও আশা করেন। বলিউড এই ভাবনাকে যদি আরও প্রসারিত করে তবে ভবিষ্যতে আমরা আরও উন্নত সিনেমার অপেক্ষা করতে পারি।