বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্বাসীর থেকে ধারাবাহিক হুমকির মধ্যে রয়েছেন। খ্যাতনামা কৃষক নেতা রাকেশ তিকায়েত সালমানকে মন্দিরে গিয়ে মাফ চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যাকে তিনি ‘বদমাশ লোক’ বলে অভিহিত করেছেন। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার শিকার মামলা নিয়ে চলা এই দীর্ঘ টানাপোড়েনে, সালমানের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে বিশ্বাসীর গ্যাং। সাম্প্রতিক সময়ে, বিščনোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা সালমান ও তার বাবার কুশপুতুল পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই ঘটনাগুলো বলিউডের আড়ালে সমাজের জটিলতা এবং প্রভাবকে সামনে আনে, যা আমাদের সংস্কৃতি ও বিনোদনকে নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য করে।
বলিউডের অন্ধকারে সালমানের নতুন পরিচয়: ক্ষমার খোঁজে?
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এর কালো মাকড়সার জালে পড়ে সালমান খান যেন এক কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছেন। ব্ল্যাকবাক মামলা নিয়ে ধারাবাহিক হুমকি গ্রহণ করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি, কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত সালমানকে একটি মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পরামর্শ দিয়েছেন, বিষ্ণোইকে একটি “বদমাশ মানুষ” বলে সম্বোধন করে।
রাকেশ টিকায়েতের সতর্কতা
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত সালমান খানকে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে দৃঢ়ভাবে উপদেশ দিয়েছেন। বাদশা সিদ্ধিকের হত্যার পর টিকায়েত ইঙ্গিত করেছেন যে, হয়তো সালমানের জন্য নিরাপদ হবে লরেন্স বিষ্ণোইর কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি শুধুমাত্র সালমানের জন্য নয়, বরং সমাজের জন্য বৃহত্তর তাৎপর্য ধারণ করে।
যৌক্তিক চিন্তাভাবনা
হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, “এটি সমাজের সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। সালমান খানকে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, নাহলে কেউ জানে না বন্দি মানুষ কখন কি করতে পারে।”
তিনি লরেন্স বিষ্ণোইকে একটি বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, “তিনি বদমাশ মানুষ।”
বিচার ব্যবস্থা ও আইনগত জটিলতা
সালমান খান ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন, প্রতিনিয়ত লরেন্স বিষ্ণোইর গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। এটি মূলত ১৯৯৮ সালের ব্ল্যাকবাক শিকার মামলার দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের কারণে শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই আইনি যুদ্ধ সত্ত্বেও বিষ্ণোই ধারাবাহিকভাবে সালমানের জীবনের বিরুদ্ধে হুমকি জারি করছেন।
শুটিংয়ের সময় সমস্যা
এই সমস্যাগুলি শুরু হয় যখন সালমানকে রাজস্থানের যোধপুরে “হাম সাত সাত হেন” ছবির শুটিংয়ের সময় ব্ল্যাকবাক শিকার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এর ফলে ২৬ বছরের একটি আইনি লড়াই শুরু হয়।
সামাজিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
বিষ্ণোই এবং তার গ্যাং সালমানের বিরুদ্ধে খোলামেলা হুমকি দিয়েছে। এর আগে, মুম্বাইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়েছিল, যা সিদ্ধিকের হত্যার পর উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা সালমান এবং তার বাবা সালিম খানের পুতুল দাহ করে, ব্ল্যাকবাক মামলায় যে বক্তব্যগুলি তাদের বিভ্রান্তিকর বলে মনে হয়েছে তার প্রতিবাদে।
বলিউডের বর্তমান চিত্র
এদিকে, সালমান খান নতুন “ডা-বাংল ট্যুর” ঘোষণা করেছেন, যেখানে টুমানা ভাটিয়া, সোনাক্ষী সিংহা, এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সহ আরও অনেক শিল্পী যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, আমরা কি যেন হারিয়ে ফেলছি? ছবির দুনিয়ায় রক্তক্ষরণ চলছে, আর শিল্পীরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।