অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে সম্প্রতি মেয়াঙ্ক শেখরের সঙ্গে এক কথোপকথনে বললেন তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে। তিনি জানালেন সহশিল্পীদের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা এবং চলচ্চিত্রজগতের বাস্তবতা। বললেন, “আমরা পরিবার,” করার পাশাপাশি, বললেন সোহানা খান ও অন্যান্যদের নিয়ে একটি মজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা। বন্ধুত্ব, সমর্থন এবং বুঝার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করলেন, চলচ্চিত্রের আড়ালে রয়েছে একটি স্নেহময়ী জগৎ, যেখানে শিল্পীদের জীবনযাপন ও কর্মজীবনের চাপ বুঝা সহজ।
নতুন প্রজন্মের বন্ধুত্ব: বলিউডের ‘চার্লি’দের গল্প
অনন্যা পাণ্ডে সম্প্রতি মিড-ডে’র মেয়াঙ্ক শেঠের সঙ্গে একটি উষ্ণ আলাপচারিতায় তার ক্যারিয়ার এবং জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়ে তিনি বলেন, সুহানা খানের সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধুত্বের কথা বলেছেন এবং অন্য তারকাদের যেমন নভ্যা নাভেলি নন্দা, শানায়া কাপূর, সারাহ আলি খান ও জানভি কাপূরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বন্ধুত্বের বন্ধন
অনন্যা বলেন, “নভ্যা সর্বপ্রথম, তারপর আমি, এরপর শানায়া এবং পরে সুহানা। আমরা সবাই এক বছরের ব্যবধানে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি তাদের সঙ্গে বন্ধু না হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা যেন পরিবারের সদস্য অর্থাৎ।
‘চার্লি’দের গোষ্ঠী
অনন্যা একটি মজার তথ্য প্রকাশ করেন, “আমাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে যার নাম ‘চার্লি’দের অ্যাঞ্জেলস’। সুহানা এবং শানায়ার সঙ্গে একটি গ্রুপও আছে, সেটাকেও ‘চার্লি’দের অ্যাঞ্জেলস’ বলা হয়। নভ্যা, আমি, সুহানা ও শানায়ার একটি গ্রুপ রয়েছে যার নাম ‘অনন্যার ফ্যানস’! এই নামটি আমি দিয়েছি, নিঃসন্দেহে!”
সুহানার ডেবিউ
সুহানা খান গত বছর ‘দ্য আঞ্চিস’ (২০২৩) ছবির মাধ্যমে অভিষেক করেছেন, যা পরিচালনা করেছেন জোয়া আখতার। অনন্যা বলেন, “আমি ‘দ্য আঞ্চিস’ খুব ভালো লেগেছে। আমি প্রিমিয়ারে তার পাশে বসে খুব খুশি ছিলাম। সে সত্যিই অনন্য এবং পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু দিতে পারে।”
পিতৃত্বের প্রভাব
অভিনেত্রী তার বাবা চাঙ্কি পান্ডে এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন, “আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, তখন দেখতাম আমার বাবা অন্যান্য অভিনেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখছেন। তাই আমি শিল্পকে একটি উষ্ণ, বন্ধুত্ত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে জানতাম। এখন যখন আমি অভিনয় করছি, তখন আমি সেভাবেই সম্পর্ক রাখতে চাই।”
শিল্পীদের সমর্থন
তিনি আরও বলেন, “সারাহ আলি খান আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিল (CTRL দেখে)। জানভি কাপূরের সঙ্গে IIFA অনুষ্ঠানে কাজ করেছিলাম। সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘হোটেল কেমন ও তার কক্ষ পরিষেবা কেমন’। তারা একমাত্র যারা আমার অবস্থান বুঝতে পারে। তারা আমাকে সবার থেকে ভালোভাবে জানে কারণ তারা আমার অবস্থানে রয়েছে।”
বন্ধুদের মধ্যে পার্থক্য
অনন্যা বললেন, “তারা আমাকে আমার স্কুলের বন্ধুদের চেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারে। তারা অন্য এক দলের বন্ধু, কিন্তু তারা ৯ থেকে ৫ পর্যন্ত কাজ করে। তাই তারা শিল্পের কাজে বা একটি ছবির মুক্তির সময়ে যে চাপ আসে, তা বুঝতে পারে না।”
বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে: নতুন শিল্পী ও পরিবর্তনশীল দর্শক
অনন্যার মন্তব্যগুলি বলিউডের নতুন প্রজন্মের একটি চিত্র তুলে ধরে, যেখানে সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের পাশাপাশি সৃজনশীলতা এবং শিল্পী হিসাবে বিকাশের অনন্য গল্প রয়েছে। বর্তমানের এই কথোপকথন সম্ভবত বলিউডের এক নতুন অধ্যায়, যেখানে পুরানো শৃঙ্খলগুলি ভেঙে নতুন পথের দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।