রিচা চাড্ডা ও আলী ফজলের প্রথম প্রযোজনার ছবি “গার্লস উইল বি গার্লস” প্রমাণ করছে যে, ভারতীয় সিনেমার পরিসর এখন পরিবর্তনের যুগে প্রবাহিত হচ্ছে। মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ একাধিক পুরস্কার জয় করে, এই ছবি এর নান্দনিক কাহিনী ও শক্তিশালী মহিলা চরিত্রের উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশেষভাবে রিচা ও আলীর প্রচেষ্টায়, ছবিটি নারী পরিচালকের হাত ধরে ভিন্নধর্মী এবং বহুমাত্রিক নারীদের গল্প তুলে ধরছে, যা সিনেমা প্রেমীদের কাছে নতুন আশার আলো।
সিনেমার দুনিয়ায় নারীর গৌরব: রিচা চাড্ডা এবং আলী ফজলের প্রযোজনায় “গার্লস উইল বি গার্লস” এর সাফল্য
রিচা চাড্ডা এবং আলী ফজলের প্রথম প্রযোজনার সিনেমা “গার্লস উইল বি গার্লস” এখন বিশ্ব মঞ্চে অসাধারণ যাত্রা করছে। গত 2024 সালের প্রখ্যাত মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসব, এমএমআইএমআই তে একাধিক পুরস্কার জিতেছে। সুচি তালতের পরিচালনায়, এই সিনেমাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছে, এবং এবার এমএমআইএমআই তে চারটি নতুন সম্মাননা অর্জন করেছে: ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড সেনসিটিভিটি অ্যাওয়ার্ড, ইয়াং ক্রিটিক্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড, জুরি স্পেশাল মেনশন দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র বিভাগে এবং নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড।
অভিনয়শিল্পীদের অসাধারণ প্রতিভা
কানি কুষরুটি, প্রীতি পানিগ্রাহী, কেশব বেনয় কিরন, এবং জিতিন গুলাটির মতো প্রতিভাবান শিল্পীরা সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন। “গার্লস উইল বি গার্লস” সিনেমাটি ন্যায়পূর্ণ চরিত্র এবং সংবেদনশীল কাহিনীর অসাধারণ উপস্থাপনা করেছে। চাড্ডা এবং ফজলের যৌগিক উদ্যোগ পুশিং বোতামস স্টুডিওসের সহায়তায় বানানো এই সিনেমাটি সমালোচকদের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদেরও মন জয় করেছে।
সফলের উল্লাস
ফিল্মটির সাফল্য সম্পর্কে রিচা চাড্ডা জানান, “এমএমআইএমআই তে পুরস্কার জিততে পারাটা আমাদের জন্য যেন বাড়িতে ফিরে যাওয়া। আন্তর্জাতিক উৎসবগুলিতে গার্লস উইল বি গার্লস যে অসাধারণ যাত্রা করেছে, তা দেখে আমাদের দেশের মাটিতে এত ভালোবাসা এবং প্রশংসায় সংবেদনশীল মন উন্মুক্ত হয়েছে। কানো কুষরুটি, প্রীতি পানিগ্রাহী, কেশব বেনয় কিরন এবং জিতিন গুলাটির অভিনয়ের জন্য আমরা গর্বিত।”
নারীর গল্প বলার এক নতুন দিগন্ত
আলী ফজাল তার আনন্দ প্রকাশ করতে বলেন, “এই বিজয়গুলো আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছে কারণ এটি বিশেষভাবে নারী বিষয়ক বিভাগের জন্য স্বীকৃত হয়েছে। একজন পুরুষ এবং সিনেমাপ্রেমী হিসেবে, আমি নারীদের দ্বারা নারীদের গল্প শুনতে পেয়ে সত্যিই উচ্ছ্বসিত। এটি বিস্তৃত দর্শকের সঙ্গে গভীরভাবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আমাদের এই সাফল্যের কৃতিত্ব আমাদের অসাধারণ দলের। সুচির পরিচালনা গল্পটিকে সৌন্দর্যের সঙ্গে জীবন্ত করে তুলেছে।”
বাঙালির দর্শক মানসিকতার পরিবর্তন
এই সিনেমাটি বিষাদময় নস্টালজিয়া এবং চিন্তাভাবনাপ্রবণ থিমের জন্য প্রশংসিত হয়েছে, এবং এটি ভারতীয় সিনেমার পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটের একটি প্রতীক। এটি কেবল একটি চমৎকার চলচ্চিত্র হিসেবে নয়, বরং নারীদের গমণিকা ও সমাজে তাদের ভূমিকায় বিস্তৃতভাবে এসছে এমন গল্পের একটি শক্তিশালী উক্তি হিসেবে কাজ করছে।
শেষ কথা
বদলে যাচ্ছে বলিউডের চিত্র এবং দর্শকদের ধারণার জায়গা। “গার্লস উইল বি গার্লস”এর সাফল্য আমাদের জানিয়ে দেয় যে, সময় এসেছে সৃজনশীলতাকে এবং নানা রকমের উপস্থাপনের শৈলীর প্রশংসা করা উচিত। আর এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, নারীর গল্প কিভাবে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।