বক্স অফিসের সর্বাধিক প্রত্যাশিত দ্বন্দ্ব সামনে এসে উঠেছে, ‘সিংঘাম এগেন’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ এর মধ্যে। টিরিজি ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ তৈরির পর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, অভিযোগ করে যে ‘সিংঘাম এগেন’ তাদের শো ভাগাভাগিতে অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে। এই সংঘাতের মধ্যে, ছবির শিল্পের বাস্তবতা আবারো ফুটে উঠছে—নতুন প্রজন্মের দর্শকদের চাহিদা, তারকা সংস্কৃতির চাপ, এবং সিনেমার সামাজিক প্রতিজ্ঞা।
বক্স অফিসের বড় সংঘর্ষ: সিংঘাম বনাম ভূত বলাইয়া ৩
মাত্র ১০ দিনেরও কম সময় বাকি রয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় ক্ল্যাশটির জন্য, যা হতে চলেছে সিংঘাম এগেন এবং ভূত বলাইয়া ৩ এর মধ্যে। শুরু থেকেই শো শেয়ারিং নিয়ে যে লড়াই হবে তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল, এবং সেই উদ্বেগ সত্যিতে পরিণত হয়েছে। একটি নাটকীয় ঘটনার মধ্যে, ভূত বলাইয়া ৩ এর প্রযোজক, টি-সিরিজ, ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে সিংঘাম এগেন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে 불공정 চর্চার জন্য।
প্রযোজকদের মধ্যে সংঘাতের অশুভ ধারা
বলিউড হাঙ্গামার একটি সূত্র জানিয়েছে, “সিংঘাম এগেন বিতরণ করছে পিভিআর পিকচার্স এবং তাই পিভিআর ইনক্সে 60% এরও বেশি শো তাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এর ওপর তারা কিছু একক স্ক্রীন থিয়েটারকে জানিয়েছে যে তারা তাদের চলচ্চিত্রের জন্য সকল শো চাইছে। ভূত বলাইয়া ৩-কে শো দিতে কিছু একক স্ক্রীন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে ভৌতিক কমেডি শুধু একটি শো পাবে, সেটাও সকালে খুব ভোরে।”
নৈতিক জিজ্ঞাসা ও প্রতিযোগিতার দাবী
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, “এ কারণে, টি-সিরিজ ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের দাবি হল যে দুইটি চলচ্চিত্রকে 50% শো শেয়ার করতে দেওয়া হোক।” বিস্ময়করভাবে, সিংঘাম এগেন এর প্রধান চরিত্রকে অভিনয় করছেন অজয় দেবগন এবং ২০১২ সালে তার নিজের ছবির সাফল্যের জন্য যখন তিনি “সন অফ সারদার” নিয়ে “জব তক হ্যায় জান” এর সাথে সংঘর্ষ করেন, তখন তিনিও ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে গিয়েছিলেন।
তারকাদের মিলনমেলা: সিংঘাম এগেন ও ভূত বলাইয়া ৩
সিংঘাম এগেন এ অভিনয় করছেন অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, রণবীর সিং, দীপিকা পাডুকোন, করিনা কাপূর খান, টাইগার শ্রফ, অর্জুন কাপূর ও জ্যাকী শ্রফ। অন্যদিকে, ভূত বলাইয়া ৩ তে থাকছেন কার্তিক আরিয়ান, বিদ্যা বালান, মাধুরী দীক্ষিত এবং ত্রিপ্তি ডিমরি। দুটি ছবিই দীপাবলি উপলক্ষে ১ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে।
বক্স অফিসের শীর্ষস্থানে দখলের লড়াই: সাফল্যের খোঁজে
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুই ছবির মধ্যে লড়াই কাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে? উভয় প্রতিযোগীই বড় তারকা ও জনপ্রিয়তা নিয়ে আসছে, তবে পূর্বের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বড় তারকা থাকা সত্ত্বেও, box office ফলাফল সবসময় নিশ্চয়তা দেয় না। তাই প্রতারণা, অনৈতিক জিজ্ঞাসা ও মিডিয়া প্রতিনিধিত্বের দ্বন্দ্বের এই গতি ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র কর্মীদের জন্য কি শিক্ষা হতে পারে, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।
কথাসাহিত্যের পরিবর্তন: দর্শকদের পক্ষ ও প্রভাব
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের সাথে চলচ্চিত্র শিল্পের কাহিনীগুলিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান দর্শকরা এখন সামাজিক চেতনা ও বৈচিত্র্যময় কাহিনী অন্বেষণ করে। তদুপরি, অভিনেতাদের পারফরম্যান্সের উপর সম্মান ও ভবিষ্যৎ ফিল্ম তৈরির জন্য নতুন নতুন মাধ্যমের সাথে সংযোগস্থাপন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সুতরাং, চলুন এই ধর্মঘটের ভেতর দিয়ে একটি নতুন চলচ্চিত্র দূর্ভিক্ষের প্রত্যাশা নিয়ে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাই! কে জানে, হয়তো এই সংঘাতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এসেছে এবং সত্যিকার অর্থে সিনেমার শিল্পের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।