গত রাতে मुंबईর তাজ মহল প্যালেস হোটেলে ক্যান্সার সচেতনতার উদ্দেশ্যে এম-ক্যান চ্যারিটি গালার আয়োজন করেন মাহেকা মিরপুরি ও করণ জোহর। তাদের প্রচেষ্টায় ২.২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়, যা টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। করণ জোহর তার বাবার মৃত্যুর কারণে এই সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং সবাইকে অসহায় রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। মাহেকা জানান, এ বছরের প্রচেষ্টা অনেকেই সাড়া ফেলেছে, এবং এই ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক জনপ্রিয় মুখ।
সাহসী সিনেমার জন্য বিচ্ছিন্ন হৃদয়: করণ জোহরের নবলোক মধ্যে মানবতা
মহেকা মিরপুরি গত ১১ বছর ধরে এমসিএএন চ্যারিটি গালা আয়োজন করছেন, যার উদ্দেশ্য হলো ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত পিছিয়ে পড়া রোগীদের সমর্থন করা।
শুধু কি দান? সম্প্রতি মহেকা মিরপুরি এবং বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক করণ জোহর একত্রে ১২তম বার্ষিক চ্যারিটি গালা অনুষ্ঠিত করেছেন ‘মুভ ফর ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস’ (এম-ক্যান) ফাউন্ডেশনের জন্য। রাজধানীর তাজ মহল প্যালেস হোটেলে অনুষ্ঠিত এ নিলামে শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপস্থিতি ছিল, যেখানে সফলভাবে ₹২,২৫,৭৯,০০০ (২.২৫ কোটি) টাকা তোলা হয়েছে ২০২৪ সালের জন্য। সমস্ত অর্থ টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালকে প্রদান করা হবে, যা মূখ এবং গলা ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এটি ছিল মানবতা, দয়া এবং একটি মহৎ উদ্দেশ্যে নীতির পূর্ণ রাত।
করুণ নীতিমালা: করণ জোহরের অভিজ্ঞতা
করণ জোহর তাঁর আবেগময় অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর বাবার ক্যান্সারের কারণে হারিয়েছেন এবং এ কারণে এই কারণে সমর্থন করাটা তাঁর ওপর একরকম দায়িত্ব। তিনি জানান, গত বছর তোলা তহবিলের প্রভাব দেখে মহেকা মিরপুরির সাথে আবার একত্রে কাজ করার আগ্রহ জেগেছে। তিনি টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং মহেকার এই উদ্দেশ্যের প্রতি তার অনুরাগের কথা বলেছেন।
করন জানান, “আমাদের উচিত পিছিয়ে পড়া রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং যে তাদের কষ্টটি বোঝে না, তাদের জন্য আমাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠা।”
মহেকার সংকল্প ও প্রচেষ্টা
অনুষ্ঠানটি নিয়ে মহেকা মিরপুরি বলেছেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে করণ জোহর আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় বছর এম-ক্যান ফাউন্ডেশন ও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সমর্থনে যুক্ত হন। যারা করণকে জানেন, তারা জানেন তিনি বৃহত্তর হৃদয়ের মালিক; তিনি এম-ক্যান ফাউন্ডেশনের জন্য অসাধারণভাবে সাহায্য করেছেন।” তিনি আরও একবার জানিয়ে দেন, “এটি আমার খুব প্রিয় বিষয়, আমি ক্যান্সারের কারণে পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ।”
মহেকা জানান, “এ বছর ফাউন্ডেশন ২.২৫ কোটি টাকার তহবিল তুলেছে, যা অনেক পিছিয়ে পড়া রোগীর চিকিৎসায় সহযোগিতা করবে।” তিনি জানান, “আমি আমার সমস্ত বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা প্রতি বছর এই উদ্দেশ্যে উদারতার সাথে দান করেন।”
সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিচ্ছবি
অনুষ্ঠানে মহেকার ‘মডার্ন মহারানি’ কালেকশন প্রদর্শন করা হয়, যেখানে তার গহনা সহযোগী অউলার্থের বিশেষ ভূমিকা ছিল। এই কালেকশনটি দর্শকদের কাছ থেকে চিত্তাকর্ষক প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে।
মহেকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন বিশিষ্টজন, যেমন সুনীল গাভাস্কার, উর্মিলা মাতন্ডকার, লেইলা খান, জারিন খান, মালিকা এবং জায়েদ খান, মাধুর ভ্যান্ডারকার, ভাগ্যশ্রী দাসানি ও তাঁর পুত্র অভিজ্ঞান, পুনম ধৰ্লিং, কুইনি সিং, মাধু শাহ, আমির আলী, সূচিত্রা পিল্লাই ও আরও অনেকে। এটি ছিল মানবতার প্রতি আত্মনিবেদন এবং একত্রে সাহায্যের একটি রাত।
সত্যিই বলতে গেলে, বলিউডের এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা দেখছি, কিভাবে তারকারা তাঁদের প্ল্যাটফর্মকে সমাজসেবা ও মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করছেন। তবে সিনেমার জগতে তাদের যে আবেদন এবং প্রচারণা, তা কখনো কখনো আমাদের জনসাধারণের চিনতেও পরিবর্তন আনতে পারে।