অভিনেত্রী কৃতিকা কামরা স্থানীয় শিল্পের revival-এ কাজ শুরু করেছেন মা’র সাথে মিলে। তিনি বানালেন ‘সিনাবার’ নামে একটি ফ্যাশন উদ্যোগ, যা চাঁদেরী অঞ্চলের দক্ষ তাঁতিদের কাজকে সম্মানিত এবং প্রচারিত করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি শিল্পীদের সার্বিক উন্নয়ন ও গর্ব ফিরিয়ে দিতে চান, যাতে লোকাল আর্ট ফর্মগুলি নতুন করে পুনর্জীবিত হয়।
শিল্পী-কর্তা: চন্দেরির হাতে বোনা শিল্পে নতুন আলো প্রদীপিত করলেন কৃতিকা কামরা
বলিউডের তারকা কৃতিকা কামরা এখন গ্রামের শিল্প ও কারিগরদের সাহায্যের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি এবং তার মা চন্দেরির স্থানীয় কারিগরদের উন্নতির জন্য একটি ফ্যাশন ইনিশিয়েটিভ ‘সিনাবার’ শুরু করেছেন, যা এলাকার হাতে বোনা শিল্পকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করছে।
কৃতিকা যখন চন্দেরিতে সফর করেন, তখন তিনি এই শিল্পীদের কঠোর পরিশ্রম দেখতে পান এবং তাদের সাহায্য করার জন্য কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এই উদ্দেশ্যটি নিয়ে, তিনি স্থানীয় শিল্পীদের অসাধারণ কারুকার্য তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে এই ফ্যাশন উদ্যোগ শুরু করেন। অভিনেত্রী ও তার মা স্থানীয় কারিগরদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, যা তাদের দক্ষতা সংরক্ষণ এবং টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করছে।
একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা
এই উদ্যোগ নিয়ে মন্তব্য করেন কৃতিকা কামরা, “চন্দেরি সবসময় তার অপূর্ব হাতে বোনা শিল্পের জন্য পরিচিত, এবং এই শহরে বেড়ে ওঠার ফলে আমি এই শিল্পীদের জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা অনুভব করি। আমার মায়ের সঙ্গে এই উদ্যোগ শুরু করা ছিল ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর একটি উপায়, সেইসঙ্গে আমাদের কমিউনিটিতে দান করারও। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে যেখানে এই talented কারিগররা তাদের কাজ বিশ্বে উপস্থাপন করতে পারেন। এটা আমাদের জন্য শুধুই একটি ব্যবসা নয়—এটা আমাদের লোকদের শক্তিশালী করা এবং তাদের দক্ষতায় গর্বাবোধ দেওয়ার একটি উপায়।”
স্থায়িত্বের দিকে অগ্রসর হওয়া
কৃতিকার এই উদ্যোগের মাধ্যমে চন্দেরির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য উদযাপন করার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিকে সহায়তা করার আশা আছে। তিনি আশাবাদী যে এটি শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বৃদ্ধি সহায়ক হবে না বরং অন্যদেরও তাদের সম্প্রদায়ের শিল্পীদের মূল্যায়ন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।
সমাজের টানে বিদ্ধ
কৃতিকা কামরা আরও সাম্প্রতিক একটি বিষয়ে কথা বলেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “প্রাইম ভিডিও’র ‘মৈত্রি’ কথোপকথনে পুরুষদেরকে আবেদন জানিয়ে বলেছি, ‘সার্টিফিকেট দেওয়া ও অবজেক্টিফাই করার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা আছে’। এটি বোঝাতে তিনি সামাজিক প্যারাডাইম এবং ন্যারেটিভ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন।”
এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্যোগের মাধ্যমে কৃতিকা কামরা প্রমাণ করেছেন যে, কিভাবে চলচ্চিত্র শিল্পের তারকারা সমাজের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অস্ত্র হিসেবে কাঁচা শৈল্পিকতা দিয়ে, তিনি শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য উদ্যোগে আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটকে নতুন আলোতে তুলে ধরেছেন।