“বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডে সালমান খানের সম্পর্ক অস্বীকার, বলিউড নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম!”

NewZclub

“বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডে সালমান খানের সম্পর্ক অস্বীকার, বলিউড নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম!”

বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার সেলিম খান দ্রুত অস্বীকার করেছেন যে সম্প্রতি নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে তাঁর ছেলে সালমান খানের কোনো সম্পর্ক আছে। বাবার হত্যাকে সালমানের সুরক্ষায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীলতার চেষ্টার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা নাকচ করে তিনি বলেন, “এতে বাবার কী সম্পর্ক?” এই ঘটনা নগরীর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করছে এবং চলচ্চিত্র শিল্পের অন্দরের টানাপোড়েন নির্দেশ করছে।

“বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডে সালমান খানের সম্পর্ক অস্বীকার, বলিউড নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম!”

বলিউডের অন্ধকার পথে—সালিম খানের বক্তব্যে নতুন জল্পনা

বিনোদন জগতের এক প্রাচীন গীতিকার সালিম খান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সদ্য ঘটে যাওয়া এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার পুত্র, অভিনেতা সালমান খানের কোনো সম্পর্ক নেই। এবিপি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই গুজবকে অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। খানের বক্তব্য, “নাহিন, আমাকে নেহি লাগতাহি যে এর সাথে কোনো সম্পর্ক আছে। বাবা সিদ্দিকের এর সাথে কী সম্পর্ক থাকতে পারে? যে কোনো গল্প বানিয়ে ফেলুন। আপনি আমাদের স্যালাম করেননি, তাই আমি আপনাকে মেরে ফেলবো। আপনি আমাদের নমস্তে করেননি, আমরা মারবো।”

বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডের প্রভাব

বাবা সিদ্দিক, যিনি এনসিপির একটি বিশিষ্ট নেতা, ১২ অক্টোবরের রাতে মুম্বাইয়ে তার পুত্র জিশান সিদ্দিকের অফিসের সামনে নির্মমভাবে নিহত হন। ঘটনার পর মহাবিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত তদন্তের পর দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলো।

প্রযুক্তি ও সন্ত্রাসের জাল

অভিযোগ উঠেছে যে, আটককৃতরা সন্দেহভাজনরা আদৌ সচেতন ছিলো যে, তারা শুবহাম লঙ্কার এবং মোহাম্মদ জিশান আখতারের সাথে যোগাযোগ করছিলেন, যাঁরা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন। আখতারের বৈপ্লবিক সংযোগ ম্যাটার মোটামুটি সঠিক ছিল, যা সিদ্দিকের হত্যার কাণ্ডে তাকে প্রধান মাস্টারমাইন্ড হতে পারে বলে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

সালিম খানের প্রতিক্রিয়া ও সন্তানের সুরক্ষা

সালিম খান তার ছেলে সালমানের নিরাপত্তাকে আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাতের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন, “এতে কী আছে? সবাই তাকে বাঁচতে চায়… জীবন যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারে, যেকোনো মানুষের।” এই মন্তব্যগুলি সমাজের সুশৃঙ্খলার পক্ষে গুরুত্ব বহন করছে, যেখানে সেলিব্রিটিরা কখনো কখনো রাষ্ট্রের নায়ক হয়ে ওঠে।

বোর্ডের আড়ালের অন্তর্দৃষ্টি

এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে, বোর্ডও আজকালকার সিনেমাগুলির কাহিনীতে সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে কি দৃষ্টিভঙ্গি নিচ্ছে, তা ভাবার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দর্শকদের চাইতে বর্তমানে সিনেমার কাহিনী এবং চরিত্রগুলোর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতির পাশাপাশি, চলচ্চিত্রদেরও সমাজে নিজেদের ভাবমূর্তি তৈরি করার জরুরি প্রয়োজন।

বিনোদন জগতের জন্য একটি শিক্ষা

এই সংকটমূলক ঘটনাগুলির পরে, সেলিব্রিটিরা সমাজের দায়বদ্ধতার কথার উপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সালিম খান নিজেই মনে করেন যে, জনপ্রিয়তা হল একটি দ্বি-লোড করা তির—একদিকে দর্শকদের মনোরঞ্জন এবং অন্যদিকে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। সাম্প্রতিককালে, চলচ্চিত্রের পরিবেশকে পরিবর্তন করতে হবে এবং ভালো কাহিনী প্রত্যাশার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

মন্তব্য করুন