“মুক্তির জন্য সংগ্রাম: ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ সিনেমা ও মানবাধিকারের যাত্রা, সত্যের কাহিনী সংরক্ষণের লড়াই!”

NewZclub

“মুক্তির জন্য সংগ্রাম: ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ সিনেমা ও মানবাধিকারের যাত্রা, সত্যের কাহিনী সংরক্ষণের লড়াই!”

বলিউডের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ নিয়ে কেবল সিনেমার আপডেটই নয়, এটি সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কথাও তুলে ধরছে। কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র কর্তৃপক্ষের কড়া প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায় ফুলে তোলা প্রতিরোধে দাঁড়িয়ে এসেছে, যা কাল্পনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাস্তবের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়। দিলজিৎ দোসান্জের অভিনয় সত্ত্বেও চলচ্চিত্রটি যদি বর্তমান চিন্তাভাবনাগুলোর প্রতিবিম্ব হয়, তবে সমাজের সঠিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন উন্মোচিত হচ্ছে।

“মুক্তির জন্য সংগ্রাম: ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ সিনেমা ও মানবাধিকারের যাত্রা, সত্যের কাহিনী সংরক্ষণের লড়াই!”

বলিউডের উপর বিতর্কের ঝড়: ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ চলচ্চিত্রের মুক্তির জন্য ইতিহাসের সংঘাত

জাসওয়ান্ত সিং খালরার জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ চলচ্চিত্রটি, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, গত দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড (CBFC) থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এই চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করছেন হানি ত্রেহান এবং প্রযোজনা করছেন রনির স্ক্রূভালা। বোর্ডটি ছবিটির বিষয়বস্তুতে একাধিক পরিবর্তন চেয়েছে, যার মধ্যে ছবির নাম পরিবর্তন এবং খালরার চরিত্রের নাম পরিবর্তন করা অন্তর্ভুক্ত।

এই পরিবর্তনগুলি সিখ কমিউনিটি এবং শহীদ খালরার পরিবারের পক্ষ থেকে ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। সিখ সমাজের মনে হচ্ছে, এসব পরিবর্তন ছবির বার্তাকে দুর্বল করতে এবং এর ইতিহাসের যথার্থতাকে আড়াল করতে চাচ্ছে।

SGPC-এর সমর্থন: ইতিহাসের সত্যতার প্রচেষ্টায়

মিড-ডে-এর একটি প্রতিবেদনের অনুযায়ী, CBFC-এর চাহিদার বিরুদ্ধে সাড়া দিতে শিরোমানি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (SGPC) চলচ্চিত্রটিকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছে। এবার তারা আগালTakht-এর নির্দেশ অনুযায়ী ছবিটি পর্যালোচনা করার জন্য একটি প্যানেল গঠনের কাজ শুরু করেছে।

SGPC-এর সাধারণ সম্পাদক গুরচরন সিং গਰੇওয়াল বলেছেন, “খালরা পরিবারের বিশ্বাস, কিছু পরিবর্তন চলচ্চিত্রটির প্রভাবকে কমিয়ে দেবে। এতে আইনি এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সংযোজিত ঘটনাবলীর উল্লেখ বাদ পড়বে। এসব পরিবর্তন চলচ্চিত্রটির ইতিহাসের প্রকৃততা এবং গুরুত্বকে বিকৃত করতে পারে।”

Akal Takht-এর হস্তক্ষেপ: শিক্ষাবিদদের প্রয়োজনীয়তা

আগালTakht-এর যথেদার গিয়ানি রাঘবীর সিং বলেছেন, “একটি প্যানেল গঠন করা হবে যাতে শিক্ষাবিদরা ছবিটি পর্যালোচনা করে আমাদের সমাজের অনুভূতি এবং সততার সাথে এটি মেলাবে।” SGPC লক্ষ্যে রেখেছে যে মুক্তির আগে ছবিটি সব দিক থেকে পর্যালোচনা করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ছবিটির বিশ্লেষণ করতে উদ্যোগী হয়েছে, এর ফলে তারা খালরার ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে চাইছে।

পর্যালোচনার প্রস্তুতি: একাধিক বিশেষজ্ঞের অন্তর্ভুক্তি

SGPC দ্বারা গঠিত কমিটিতে থাকবে আইন বিশেষজ্ঞ এবং সেই সময়ের রাজনীতির বিষয়ে জ্ঞানী শিক্ষাবিদরা। এই ব্যাপক পর্যালোচনাটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এদিকে, ছবির নির্মাতারা, ত্রেহান এবং স্ক্রূভালা, এখনও CBFC এর পক্ষ থেকে ছবির সার্টিফিকেশনের প্রেক্ষিতে কোনো সাড়া পাননি। তবে আগালTakht এবং SGPC-এর সম্প্রতি হস্তক্ষেপ নির্মাতাদের মধ্যে আশার বাণী এনেছে।

শহীদ খালরার ঐতিহ্য: পরিবর্তন ছাড়াই মুক্তির প্রতিশ্রুতি

যদি সিখ সংগঠনগুলি ছবিটি পরিবর্তনহীনভাবে অনুমোদন করে, তাহলে নির্মাতারা ছবির মুক্তির জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। তাদের প্রস্তাবনা হলো, ছবিটি CBFC দ্বারা উল্লেখিত ২২টি পরিবর্তন ছাড়াই মুক্তি পাবে।

ছবিটি ১৯৯০ সালের অমৃতসরে স্থাপিত, যেখানে জাসওয়ান্ত সিং খালরা, একজন সাধারণ ব্যাংক কর্মচারী এবং মানবাধিকার কর্মী, একটি শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করার চেষ্টা করছেন। এমন সময় তিনি তার friend’s মা, বিবি গুরুপেজ-এর হঠাৎ নিখোঁজ হবার খবর পান। খালরা যখন তার তদন্তে গভীরতা নিয়ে যায়, তখন তিনি একটি বিপজ্জনক রহস্যের জাল উন্মোচন করেন।

বানিজ্যিক দিক এবং সামাজিক প্রতিনিধিত্ব

হানি ত্রেহান পরিচালিত এবং রনি স্ক্রূভালা দ্বারা প্রযোজিত ‘পাঞ্জাব ‘৯৫’ চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অর্জুন Rampal এবং সুরিন্দর ভিকি। ছবির বিষয়বস্তু এবং সামাজিক ব্যাপ্তির প্রভাব প্রতিটি দর্শকের মনে উন্মোচন করার চেষ্টা করবে, যা বর্তমান বলিউডের চলমান বিতর্কের পটভূমিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজিক বার্তা প্রদান করে।

মন্তব্য করুন