বাবা সিদ্দিকের হত্যার পর সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু তাকে নতুন এক মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কেশি ৫ কোটি রুপি দাবি করে একটি বার্তা এসেছে। যদিও পুলিশ এটিকে ‘প্র্যাংক’ বলছেন, তাতে সলমনের জীবনের প্রতি আশঙ্কা বেড়েছে। সিনেমা জগতের এই নাটকীয়তা সমাজের ওপরে কী প্রভাব ফেলছে, তা ভাবনার বিষয়।
বলি ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকারে সালমানের জীবন বিপন্ন: কাহিনীর পেছনে পরিবর্তনশীল সমাজ
সম্প্রতি রাজনৈতিক নেতা বাবা সিদ্দিকের খুন হওয়ার পর সালমান খানের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে, এখন শোনা যাচ্ছে যে, এই বলিউড তারকা আবারও একটি নতুন হত্যার হুমকি পেয়েছেন, যা মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি হুমকিসংক্রান্ত বার্তা এসেছে, যাতে বলা হয়েছে ৫ কোটি রুপি আদায় করা হবে তার নিরাপত্তার বিনিময়ে। আর যদি এই টাকা না দেওয়া হয়, তা হলে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত এবং জনগণের উদ্বেগ
তবে, পুলিসের কর্মকর্তারা বলছেন এটি একটি ‘প্রাঙ্ক’। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার্তাটি প্রেরণকারী দাবি করেছে যে, সালমান খানের মৃত্যু বাবা সিদ্দিকের মৃত্যু থেকে আরও ভয়ঙ্কর হবে যদি টাকা না দেওয়া হয়। বার্তাটিতে লরেন্স বিশনোইএর নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি সালমান খানের বিরুদ্ধে পূর্বে হুমকির সঙ্গে জড়িত। যদিও মুম্বাই পুলিশ এটিকে প্রাঙ্ক বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবে ঘটনা তদন্ত করার জন্য তারা একটি তল্লাশি শুরু করেছে।
লরেন্স বিশনোইয়ের হুমকি ও তার প্রভাব
পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ প্রেরককে চিহ্নিত করতে কাজ করছে এবং হুমকির সত্যতা নির্ধারণের চেষ্টা করছে। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে যে, লরেন্স বিশনোই গ্যাং সালমান খানের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল, যা তার জীবনের জন্য একটি প্রামাণিক হুমকি।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে বলিউড এবং সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তা
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় তার ছেলের অফিসের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঠকরা জানবেন, সিদ্দিক এবং তার পরিবার সালমান খানের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করেছে।
সালমান খানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ
এদিকে, লরেন্স বিশনোই এই আক্রমণের পেছনে থাকার দাবি করেছে, তবে পুলিশ এখন তার সঙ্গে সম্পর্ক তদন্ত করছে। পাশাপাশি, সালমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“বলি ইন্ডাস্ট্রির এলিটিজম: হুমকির মাঝে মনোজগতের রঙিন কাহিনি”
এটি সত্যি, যে বর্তমান বলিউডের এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা সকলেই প্রশ্ন করছি, ঠিক কতটা নিরাপদ আমাদের সেলিব্রিটিরা? আর কি বোঝায় এই সব পটভূমিতে নায়কদের জীবন? যদি চলচ্চিত্র জাতীয় স্বপ্নের প্রতীক হয়, তবে সেই স্বপ্ন কি বাস্তবে শুধু হুমকির উৎসেই পরিণত হচ্ছে?