কলকাতা মেট্রোতে রেকর্ড যাত্রী, রাজনৈতিক নাট্যশালায় অংশগ্রহণের প্রমাণ—গণতন্ত্রের পেটোয়া কি শুধু একটি সেলফির খোঁজে?

NewZclub

কলকাতা মেট্রোতে রেকর্ড যাত্রী, রাজনৈতিক নাট্যশালায় অংশগ্রহণের প্রমাণ—গণতন্ত্রের পেটোয়া কি শুধু একটি সেলফির খোঁজে?

কলকাতা মেট্রোর পুজোর সময়ে যাত্রী সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গিয়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে, অথচ আমাদের রাজনীতির ঢং যেন সেই প্রাচীন খেলার মতো—একদিকে ভিড়, অন্যদিকে স্থানীয় নেতাদের আবেগী ভাষণ। যাত্রীদের স্বপ্নসাধের চেয়ে নেতাদের নিকটই মনে হচ্ছে প্রহসনটি বড়, যেখানে সত্যিকার চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে।

কলকাতা মেট্রোতে রেকর্ড যাত্রী, রাজনৈতিক নাট্যশালায় অংশগ্রহণের প্রমাণ—গণতন্ত্রের পেটোয়া কি শুধু একটি সেলফির খোঁজে?

কলকাতা মেট্রোর নতুন যাত্রী রেকর্ড: পুজোর আনন্দে রাজনীতির আভাস

এই বছরের দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা মেট্রো নতুন একটি ইতিহাস গড়েছে। এক নতুন রেকর্ডে দেখা গেছে যাত্রী সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২৪.৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এই বৃদ্ধি তৃণমূল সরকারের নতুন ভাবনার দাবি তুলতে পারে—এর পেছনে কি শুধুই উৎসবের আনন্দ, নাকি নির্বাচনের ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে?

যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি: রাজনৈতিক প্রভাব কি?

এই অসাধারণ সংখ্যার পেছনে বছর হাজারের বৈষম্য, দুঃশাসন এবং ক্ষমতার বিভাজন লুকিয়ে আছে। প্রশ্ন উঠছে, এই ভিড় কি শুধুমাত্র উৎসবের জন্য, না কি সরকারের বিরুদ্ধে নতুন রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন? পুজোর সময় মানুষ যখন ব্যস্ত, তখন তাদের মধ্যে কি রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ছে? দিল্লি থেকে কলকাতা—সকলের দৃষ্টি তৎকালীন পরিবর্তনের দিকে।

রাজনীতির অভিঘাত: কে হতে যাচ্ছে এগিয়ে?

একদিকে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের জোরালো প্রচার। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে “জনতার সরকার,” যেন এক নাটকীয় দৃশ্য। তবে বাস্তবতা হলো, পুজোর এলোমেলো খবরের মধ্যে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।

মিডিয়া ও সরকার: তথ্যের আসল চিত্র

মিডিয়া যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করছে তা কি সত্যিই ফলপ্রসূ? কলকাতার মানুষের ভিড় কি শুধুমাত্র বিত্তশালীদের জন্য? নেতাদের এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, কিন্তু খবরের শিরোনাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় বিজয়ের খবর, যদিও বাস্তবে মানুষের দুঃখগুলো সংকটে রয়ে যায়।

জনগণের ভূমিকা: একটি নতুন ভাবনার প্রয়োজন

নাগরিক সমাজ যখন নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে আসবে, তখন তাদের দায়িত্বও বেড়ে যাবে। স্বাধীন চিন্তা ও অনুভূতি নিয়ে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে তারা রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করে। পুজোর আনন্দের মধ্যে জনগণকে একটি কার্যকর পথ খুঁজে বের করতে হবে, নচেৎ রাজনৈতিক গঠনের মধ্যে আটকে পড়বে।

শেষ কথা: রাজনীতির নতুন অধ্যায়

এই পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় কবি রবীন্দ্রনাথের কথাগুলি, “মানুষকে তার মুখ দিয়ে চেনা যায়।” কলকাতার ব্যস্ততম মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়; এটি জনগণ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিক নির্দেশনা। এই প্রেক্ষাপটে, বর্তমান রাজনীতির নাটক নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন