ক্যানিংয়ের পূর্ববর্তী বিধায়ক সম্প্রতি সিবিআই-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শওকত মোল্লার বক্তব্য, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কিছু ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ক্ষতি করতে পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করছে। বর্ষাকালে রাজনীতিতে এই উত্তাপ যেন নতুনভাবে শুরু হয়েছে। জনসাধারণ এখন প্রশ্ন করছে—এই নাটকের পেছনে আসলে কারা? শাসক দলের জন্য দুষ্টু ছায়া তাড়া করার বিষয়টি নতুন কিছু নয়।
জনগণ কি সত্যিই জানে?
সভ্যতার চূড়ায় বজ্রপাতের মতো, বর্তমানে জনগণের মধ্যে প্রতিকূল মন্তব্যের ঝড় চলছে। আসলে কি আমাদের সরকারি কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ছে? জনগণের মনে এমন প্রশ্ন পাক খাচ্ছে। যখন প্রশাসনের দৃষ্টির বাইরে জনগণের সমস্যাগুলি প্রকাশ পায়, তখন তা অশান্তির দর্শন দেয়।
ডাক্তারদের অনশন: সমাজে অস্থিরতার সংকেত
একাদশীর দিনেও জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন চলমান থাকা যেন বর্তমান শাসনকর্তাদের জন্য বড় অভিশাপ। স্বাস্থ্যসেবার এই পরিস্থিতি আমাদের সমাজের জন্য এক বিরক্তিকর পরিহাস—যখন ডাক্তাররা অনশন করছেন, তখন সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনজীবন উভয় ক্ষেত্রেই চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজনীতির অন্ধকার দিক
তবে, এই পরিস্থিতিতে কি কোথাও আত্মসমালোচনার সূচনা হচ্ছে? নাকি সবাই নিজেদের আনন্দে মাতিয়ে রেখেছে? ক্যানিংয়ের রাজনৈতিক কাণ্ডকারখানা যদি সিনেমার গল্প হয়, তবে তা রূপকথার চেয়ে বেশি বাস্তব। শাসকরা মনে করতে পারেন—প্রতিটি অশান্তি, বিক্ষোভ ও আন্দোলন যেন তাদের জন্য নতুন একটি মঞ্চ।
ভবিষ্যতের দিকে কি নতুন দিশা?
চিন্তা করুন—তাহলে কি আমরা নিজেদের স্বার্থে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছি? একদিকে শাসক এবং অন্যদিকে বিভিন্ন আন্দোলন। আমাদের সামনের ভবিষ্যৎটি কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আমাদের সংকটের অবস্থার দিকে একটি নিবিড় দৃষ্টি দিতে হবে।
সারা দেশে নতুন রাজনৈতিক অবস্থান গঠন
যদি সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্বের জন্য হয়, তবে আমাদের সমাজে এক নতুন অবস্থান সৃষ্টি হতে চলেছে। আজকের রাজনীতি যে কেবল ক্ষমতার স্বপ্ন দেখায়, সেটি একটি নিঃসঙ্গ সত্য। সমাজের ভিত্তি স্থাপন করতে আমাদের কি কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন? এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের সকলের দায়িত্ব।
