বলিউডের সাম্প্রতিক নতুন ছবিগুলোর প্রতিযোগিতায়, “জিগ্রা” এবং “ভিকি বিদ্যা কা Woh Wala Video” একটি নতুন মরশুমের সূচনা করতে প্রস্তুত। “জিগ্রা”, আলিয়া ভাটের অভিনয়ে এবং সিবিএফসির অনুমোদন পেয়ে, কিছু সহিংস দৃশ্য নিয়ে বিতর্কিত; যদিও “ভিকি বিদ্যা” একটি অন্তরঙ্গ ভিডিওকে ঘিরে কাহিনী তুলে ধরেছে অথচ পারিবারিক দর্শকদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেছে সিবিএফসি। দর্শকরা এখন গল্পের গভীরতায় এবং সমাজিক প্রসঙ্গের প্রতিফলনে আগ্রহী, যা ভারতীয় সিনেমার পরিবর্তনশীল চরিত্রকে নির্দেশ করে।
বদলে যাচ্ছে বলিউড, কিন্তু বলিউড কি বদলে যাচ্ছে?
ডি-ইত্যকারীতে “জিগরা” আর “ভিকি বিদ্যা ক্যা woh wala ভিডিও” – এর মধ্যে আসন্ন দশেরা সংঘাতে উত্তর ঊর্ধ্বতন ধারণা নিয়ে আসছে বলিউড। ১১ই অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই দুটি চলচ্চিত্র, যা দর্শকদের নজর কাড়বে।
জигরা: এক নতুন অভিজ্ঞতা
আলিয়া ভট্ট এবং বেদাং রায়নার অভিনয়ে নির্মিত “জিগরা” ৩রা অক্টোবর কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড (CBFC) থেকে U/A সার্টিফিকেট পেয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে কিছু উগ্র এবং উদ্বেগজনক দৃশ্য রয়েছে, কিন্তু এনিয়ে কোন কাটছাঁটের প্রয়োজন মনে করেনি বোর্ড। তারা দুটি দৃশ্যে মাদক ব্যবহারের জন্য একটি অ্যান্টি-ড্রাগ বার্তা যুক্ত করতে বলেছে।
দীর্ঘতা ও পরিচালনা
চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১৫৫ মিনিট, অর্থাৎ ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। এটি একটি থ্রিলার যা মানবিক সম্পর্ক এবং মাদক নিয়ে আলোচনা করে। এই কাজটি পরিচালনা করেছেন বিস্তৃত কলা নায়ক বসন্ত বালা।
ভিকি বিদ্যা ক্যা woh wala ভিডিও: প্রান্তিক বিষয়বস্তু
অন্যদিকে, “ভিকি বিদ্যা ক্যা woh wala ভিডিও” রাজকুমার রাও, তৃপ্তি ডিম্রি এবং মাল্কা শেরাওয়াতের অভিনয়ে প্রদান করা হচ্ছে। এর নাম থেকেই বোঝা যায়, চলচ্চিত্রটি একটি নিকটতম ভিডিও নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু “জিগরা” এর মতো এখানে কোনো দৃশ্য কাটানোর প্রয়োজন পড়েনি। তবে কিছু অডিও কাটছাঁট করা হয়েছে, যেখানে “বহন”, “সারদার,” এবং “গুরদোয়ার” শব্দগুলি পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।
সামাজিক সূচনা ও শিখন
এই চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১৫২ মিনিট ৫ সেকেন্ড, অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৫ সেকেন্ড। বেশিরভাগ সময় ফিল্মের বিষয়বস্তু কৌতুকের মাধ্যমে তৈরি হলেও, এর পিছনে একটি গুরুতর সামাজিক বার্তা লুকিয়ে আছে। আমরা এ সময়ের পরিবর্তিত পন্থা নিয়ে কথা বলছি, যেখানে দর্শকরা আর ভিডিওর দিকে শুধু বিনোদনের জন্য তাকাচ্ছে না।
বলিউডের পরিবর্তনের ইঙ্গিত
এখনকার দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্রগুলো এক নতুন মাত্রা নিয়ে আসছে, যেখানে সমাজের সমস্যাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সিনেমা শিল্পের এই পরিবর্তনগুলি সবসময় দীর্ঘস্থায়ী হবে তা বলা সম্ভব নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক উদাহরণগুলি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময় এসেছে। দর্শকরা কি শুধুমাত্র বিনোদন চায়, নাকি তারা আরও একটি গভীর সামাজিক বার্তা খুঁজছে? তাদের প্রত্যাশা আজকের বলিউডের প্রতিফলন।