“পুজোর ম আনন্দে ছাড়াও কলকাতা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা: ডাক্তারদের জলও আটকে, কোথায় মানবতা?”

NewZclub

“পুজোর ম আনন্দে ছাড়াও কলকাতা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা: ডাক্তারদের জলও আটকে, কোথায় মানবতা?”

কলকাতা পুলিশের ওই অনুমতি বাতিল আর ডাক্তারদের জল সরবরাহে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যেন সমাজের গভীরে একটি অর্বাচীন ক্রোধের অর্চনা। পুজোর জমকালিকে নস্যাৎ করে, সরকার এখন স্বাস্থ্যের সম্মানে মিলিত ডাক্তারদের উপর কঠোর হাতে শাসন করছে। এ হেন শাসনকালে নাগরিকদের কল্যাণ কি আদৌ জরুরি, নাকি প্রতিক্রিয়ার গতি ধারাতে বাধা দেওয়া?

“পুজোর ম আনন্দে ছাড়াও কলকাতা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা: ডাক্তারদের জলও আটকে, কোথায় মানবতা?”

পুজোর ছোঁয়ায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন: কলকাতা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা

শেষ মুহুর্তে পুজোর আনন্দে যখন চারপাশ ভরে উঠেছে, তখন কলকাতা পুলিশ একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সাথে অভিভূত করেছে। ঐতিহ্যবাহী ধর্মতলায় ডাক্তারদের জন্য মিছিলের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক নির্দেশ নয়, বরং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতি সমর্থনের অভাবের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুজোর সময় হাসপাতালের সামনে থাকা ডাক্তারদের উদ্বেগ যেন প্রশ্ন করে—”আমরা কি শুধুই পুজোর দিকে নজর রেখে যাব?”

ধর্মতলায় অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা

বর্তমানে ডাক্তারদের ধর্মতলায় বসার অনুমতি নেই, যা স্বাস্থ্যকর্মীদের অধিকার নিঃসৃত করে। জনসাধারণের সেবা করতে গিয়ে যদি তাদের নিজস্ব অধিকার খর্ব হয়, তাহলে অসুস্থদের সেবার দায়িত্ব কার কাছে থাকবে? হাস্যরসের মাধ্যমে বলা যায়, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘পুজোর শ্রী’ কতটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে!

জলের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে পুলিশ ডাক্তারদের জন্য জলের গাড়ি আটকে রেখেছে, যা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে একটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে আসার পর এর কঠোর সমালোচনা করছেন। এই অবস্থায় জল, যা জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে, পুলিশি নিষেধাজ্ঞার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রশাসনিক চিন্তা ও সমাজের ভারসাম্য

এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, গণতান্ত্রিকভাবে প্রতীকী আচরণের দিক থেকে প্রশাসনিক নিয়মματα শুধু একটি অসুস্থ প্রহসন নয়। ডাক্তাররা যদি সেবা থেকে সরে যান, তবে রোগীদের আত্মসম্মান কি ক্ষতি পাবে না? সরকারের এ ধরনের চিন্তা কি জনসাধারণের অধিকারকে অগ্রহণযোগ্যভাবে দমন করছে?

রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা ও সামাজিক উত্তরণ

এই বিরোধ প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল প্রশাসনিক নিয়মাবলী নয়, বরং সামাজিক দায়িত্বও। ডাক্তারদের আন্দোলন সাধারণ মানুষের মধ্যে সমর্থন ও ঐক্যবদ্ধতার নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করছে। তাদের সাহসিকতাকে সমর্থন জানিয়ে অন্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসার সময় এসেছে।

বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন

আমরা কি এমন এক সময়ে আছি যেখানে আলো এবং অন্ধকারের সংঘাত আমাদের চিন্তাভাবনার গভীরতার দিকে নিয়ে যাবে? শাহবাগের ডাক্তারদের প্রতিবাদ কি ভবিষ্যতের লক্ষণ? বাংলার সামাজিক রাজনীতিতে এরকম ক্ষতিকর ঘটনা যেন আর না ঘটে—এই প্রত্যাশা এবার জনগণেরই বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য করুন