লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডারে ‘ঘোষিত’ ১৪ লক্ষ টাকার দাবি: শাসনের নতুন নাটক নাকি সমাজের দিকে আঙুল?

NewZclub

লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডারে ‘ঘোষিত’ ১৪ লক্ষ টাকার দাবি: শাসনের নতুন নাটক নাকি সমাজের দিকে আঙুল?

মূয়রাক্ষী নদীর লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডার নিয়ে যখন পঞ্চায়েতের নিয়মাবলী প্রশ্নবিদ্ধ, তখন সদ্যকার এক আধিকারিকের ১৪ লক্ষ টাকার দাবিতে রাজনীতির ময়দানে আবারও এক নতুন নাটক unfolding হলো। governance-র এই নাটুকে স্রষ্টা এবং সৃষ্টি, দুই-ই যেন একাধিক মুখোশ পরে রয়েছে; জনতার সন্দেহ ও অসন্তোষের ঢেউ এই অভিনয়ের প্রেক্ষাপট। জনগণের চোখে রাজনীতির এই সাজ-সজ্জা সদা দেখার।

লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডারে ‘ঘোষিত’ ১৪ লক্ষ টাকার দাবি: শাসনের নতুন নাটক নাকি সমাজের দিকে আঙুল?

লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডার: রাজনীতির এক অদ্ভুত খেলা

বাংলার নানা রঙের মাঝে, যখন মূয়রাক্ষী নদীর জল প্রবাহিত হচ্ছে, তখন লোহাদহ ফেরিঘাটের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেছে এক নতুন যুগ। সম্প্রতি, একটি সরকারি সূত্র জানায়, ফেরিঘাটের টেন্ডার প্রকাশিত হবে। কিন্তু ‘টেন্ডার প্রকাশ’ যে কেবল একটি স্বপ্ন নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

সরকারি প্রক্রিয়ার অন্ধকার দিক

প্রশাসনের এই প্রক্রিয়ায়, পঞ্চায়েতের ঘোষণার আড়ালে চলছে একটি কর্পোরেট রাজনীতি। সূত্রটি বলেছে, “টেন্ডার এখানে হবে,” অথচ সেখানেই ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হচ্ছে। জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের সাংগঠনিক খেলা রহস্যময় হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক মুখোশের অন্তরাল তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নদী ও মানবতা: একটি গভীর সংযোগ

মূয়রাক্ষী নদী শুধু জল বহন করছে না, এটি মানুষের জীবনের স্মৃতি ও সংগ্রাম বহন করছে। যখন জনগণ জিজ্ঞেস করে “আমাদের ট্যাক্সের টাকা কোথায়?” তখন প্রশাসন নিশ্চুপ থাকে। চারপাশে চলছে রাজনৈতিক কূটকৌশল, আর সাধারণ মানুষ বিরূপভাবে অপেক্ষা করছে।

দুর্নীতির মাঝে জনগণের আওয়াজ

সাংবাদিকদের প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে জনগণের অধিকারের অবস্থান কোথায়? ‘জনগণের জন্য সরকারের’ মূলজন্য কি শুধুই শোনানো? এসব ঘটনার পেছনে ভিন ভিন্ন কাহিনি রয়েছে, যার মাঝে দূষণের ছাপ ও সামাজিক অস্থিরতা লুকিয়ে আছে।

একটি নাটকীয় পরিস্থিতি: আমাদের পথনির্দেশক কারা?

এখন প্রশ্ন উঠছে, আমাদের নেতৃত্ব দিতে কাদের আসতে হবে? কোন পথে যেতে হবে? আমাদের চারপাশে যে শৃঙ্খল গড়ে উঠেছে, তা আমরা ভাঙতে পারব, নাকি এই রাজনৈতিক নাটকে আক্রান্ত হয়ে পড়ব? দুর্নীতির স্রোতে সাধারণ মানুষ হাসির আড়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

উপসংহার: পরিবর্তনের প্রয়োজন

এই ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে দৃঢ় নীতির প্রয়োগই আমাদের সমাজের উন্নয়নের মূল সূত্র। আমাদের অন্ধকারে আলোর খোঁজে সময় এসেছে। রাতের অন্ধকারে আমাদের কণ্ঠস্বর যেন নতুন সূর্যের আগমন ঘটায়—যেখানে রাজনীতি হবে নীতির ভিত্তিতে, দুর্নীতি কিংবা বিদ্বেষ নয়, বরং মানুষের সার্বিক অধিকার ও উন্নতির কথা উচ্চারিত হবে।

মন্তব্য করুন