মৃত শিশুর বাবার দাবি আইনসিদ্ধ কি না, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশের নিত্যনতুন নাটকের পর, সরকার ও আদালতের অদৃশ্য সংঘর্ষ যেন রাজনীতির অস্পষ্ট চিত্রই তুলে ধরে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ ক্লান্ত, অথচ শাসকদল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির বাঁধনমুক্ত মাঠে। সমাজের এই বিষন্নতায়, কোথায় সঠিক বিচার? মৃত্যুর প্রহসন থেকে মুক্তি, নাকি আরও একটি অবান্তর অ্যালিগোরি?
রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিহত শিশুর বাবার জন্য নতুন আইনি সন্ধান
কলকাতার একটি কোণে সম্প্রতি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি নিরপরাধ শিশুর বাবা নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায়, নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরা আইনি সহায়তা খোঁজার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। শিশুর পিতার অভিযোগ, পুলিশের কাছে তিনি জানতে চান, এই মৃত্যুর قانونیতার বিষয়ে। কিন্তু নিম্ন আদালত তার আবেদন শুনতেও অস্বীকৃতি জানায়।
এরপর, পুলিশের কর্মকর্তারা রাতের আঁধারে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে নিজেদের আপিল জানানোর চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক উত্তেজনার মাধ্যমে কাঠামোগত সমস্যা উদ্ভব হয়েছে, তবে আইন এবং ন্যায়ের দিকে থাকা এই আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু কঠোর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেন নিহত শিশুর পরিচয় এবং তার জন্য প্রাপ্য প্রশাসনিক সহায়তা অবহেলিত হচ্ছে? এ ধরনের সামাজিক ন্যায়ের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আইন ও শৃঙ্খলার অবক্ষয়
যদি রাজ্য সরকারের শৃঙ্খলার প্রতি প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে প্রশাসনের ভূমিকা কোথায়? কি এই দেশ আদর্শ সমাজের অন্যতম উদাহরণ, যেখানে মৃত্যু হলে প্রশাসন নিস্ক্রিয় হয়ে যায়? সংবাদমাধ্যম কি সত্যিই জাতিগত নৃশংসতা ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে তৎপর, নাকি কেবল ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনায় সীমাবদ্ধ থাকে?
এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ আইনের বাস্তবায়নে যত্নবান, আবার কেউ রাজনৈতিক প্রচারণার সুযোগ নিচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি একজন শিশুর মৃত্যু রাজনৈতিক লাভের রাস্তায় পরিণত হয়, তাহলে এই মানসিকতার পরিবর্তন আমাদের সমাজের জন্য কতটা উদ্বেগজনক হবে?
গভীর মানবিক সংকট
এই ঘটনাটি কেবল একটি পরিবারের দুঃখের কাহিনী নয়, বরং এটি সমাজের মধ্যে একটি গভীর মানবিক সংকটের নির্দেশক। শান্তি এবং ন্যায়ের রাজনীতির নামে কর্পোরেট ও নির্বাচনী নৈতিকতার গুরুতর প্রশ্ন উঠছে, যা সমাজের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অশান্তির স্পষ্ট চিত্র বহন করছে।
এখন সবার নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে, এই ঘটনা কি মানবিকতার নতুন অধ্যায় নির্মাণ করতে পারবে? কিংবা সাধারণ মানুষের করুণ পরিস্থিতি এগিয়ে আসবে, যারা রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রয়েছেন? দেখা যাক, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর কতটা শক্তিশালী হয়ে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে।