শেহজাদা ধামির মধ্যে সম্প্রতি বিতর্ক উঠেছে যখন তাকে বিখ্যাত সিরিয়াল “ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়”-এ হঠাৎ করে সরিয়ে ফেলা হয়, তার বিরুদ্ধে ক্রুদের সঙ্গে অসভ্যতার অভিযোগ ওঠার পর। বিগ বস ১৮-এর প্রতিযোগী হিসেবে তার উদ্বোধনে তিনি পরিচালকের অমানবিক আচরণ তুলে ধরেন, যা চলচ্চিত্র শিল্পের অনৈতিক দিকগুলোর প্রতিফলন করে। এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ পেলে তা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের জন্য এক ভয়ঙ্কর শিক্ষনীয় মুহূর্ত হয়ে দাঁড়ায়।
বলিউডে শেহজাদা ধামির বিতর্ক ও টিআরপি যুদ্ধের নতুন অধ্যায়
শ্রীহেনা ধামি ও সমৃদ্ধি শুক্লার বিষয়ে দর্শকদের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এরই মধ্যে, জনপ্রিয় টিভি শো “ইয়ে রিশতা ক্য কেহলাটা হ্যায়”-এ অভিনয় করা শেহজাদা ধামির চরিত্র আর্মান পোদ্দার রাতারাতি প্রতিস্থাপিত হয়ে যাওয়ায় সবাই চমকে গেছেন। অভিযোগ উঠেছে, শuheজাদা টিমের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন।
বলিউডের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো “বিগ বক্স ১৮”-এ প্রতিযোগী হিসেবে এন্ট্রি নিয়ে শেহজাদা এই বিষয়টি নিয়ে তার দৃষ্টি তুলে ধরেছেন। তিনি বললেন, “আমি আকস্মিকভাবে নোটিশ ছাড়াই আমার শো থেকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেটে এসে দেখি, পরিচালক আমাকে 150 জন লোকের সামনে অবমাননা এবং গালিগালাজ করছেন।”
নজিরবিহীন আচরণ এবং বোঝাপড়ার অভাব
তিনি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করেন যেখানে পরিচালক তাকে বলেছিল বিভিন্ন রঙের ব্রেসলেট পরতে। কিন্তু শেহজাদা ও শোর ক্রিয়েটিভ প্রধান মনে করেছিলেন যে ব্রেসলেট আর্মানের চরিত্রকে অমান্য করছে। “আমি ব্রেসলেটগুলো সরিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু পরিচালক আমাকে দেখে খুব ক্ষিপ্ত হন এবং চিত্কার করতে শুরু করেন, যা আমি সত্যিই হতবাক হয়ে যাই,” ধামি বলেন।
শেহজাদা আরো বলেন, “পরদিন, যখন আমি সেটে উপস্থিত হয়েছিলাম, একটি সিনিয়র মহিলা শিল্পী আমার হাত ধরেছিলেন। যখন আমি মঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, তখন তিনি শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন। এই পরিস্থিতি খুব অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল।” পরিচালক বলেছিলেন যে শেহজাদা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না এবং তাই তাকে অবমাননা করা হয়।
অভিনেতাদের শ্রম এবং টিআরপি খেলা
বিরক্তি তুলে ধরে ধামি বলেন, “আমি প্রধান অভিনেতা ছিলাম, যেখানে আমাকে 15 ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে হয়েছিল। আমি পুরোপুরি একনিষ্ঠভাবে এই প্রজেক্টে কাজ করেছি।” বলিউডের এই নাট্যমঞ্চে মানুষের একান্ত চাহিদা ও অভিনয়ের প্রতি নিষ্ঠা কখন কি নাগাল পাবে, তা এখন প্রশ্নবোধক।
শেহজাদার এই অভিজ্ঞতায় নাট্য শিল্পে এক বিশাল সংকটের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। শিল্পী ও পরিচালক দের মধ্যে এই অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক কি আমাদের সমাজের আনুষঙ্গিকতার একটি পুনর্মূল্যায়ন নয়? বরঞ্চ, চলচ্চিত্রের জগতের আধুনিক প্রেক্ষাপট কি সন্তানসাধ্য নতুন ধারায় প্রবাহিত হবে? আমাদের সবার উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা।