স্বাধীনতার পরেও, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আশিসের যোগ্যতা বিবেচনায় অব্যবস্থার প্রতিফলন স্পষ্ট। সন্দীপ ঘোষের আশীর্বাদে অযোগ্যতা আড়াল করলেও, সমাজের সুস্থতা নয়, গোষ্ঠীগত নীতির প্রতি মানুষের অন্ধ আনুগত্যই যে আজকের শাসকের পক্ষে মূলমন্ত্র, তা বুঝতে দেরি হচ্ছে না কারও।
রাজনীতি এবং চিকিৎসা: আশিসের কাহিনী
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পর景ে আমরা যে নতুন পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি, তার অন্যতম উদাহরণ হলো রাজী কর মেডিক্যালের ছাত্র আশিস। তাঁর চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন এবং এর প্রভাব আজকের সমাজে এক উত্তাল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন দেশের অনেকেই চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে উদ্বিগ্ন, তখন আশিসের গল্প প্রমাণ করে—মেধার অভাব থাকা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম এবং সম্পর্কের মাধ্যমে কেউ দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারে।
সন্দীপ ঘোষের প্রভাব: আশিসের সফলতার গল্প
সন্দীপ ঘোষ, হাসপাতালের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, ছিলেন আশিসের সফলতার মূল কারণ। সন্দীপের অবদান ও আশীর্বাদ পেয়ে আশিস যখন হাউজস্টাফ পদে নিয়োগ পান, তখন এটি সমাজে রাজনৈতিক যোগাযোগের গুরুত্বের এক চিরন্তন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের শেখার আছে যে, একজন চিকিৎসকের কাজ শুধু রোগের চিকিৎসা করা নয়, বরং সম্পর্কের মাধ্যমে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে পেশাদারিত্ব স্থাপন করা।
সমাজের গভীর সংকটের প্রতিফলন
রাজনীতি এবং চিকিৎসার সম্পর্ক যখন বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়, তখন সেই সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আশিসের দায়িত্ব পালন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং আমাদের চিন্তাভাবনায় গভীর প্রভাব ফেলে। আমাদের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসা ব্যক্তিদের যোগ্যতা কী? কি ঘটছে সমাজে—তাদের চিকিৎসা সম্পর্কিত শিক্ষা, নাকি রাজনৈতিক পরিচিতি?
জনমত এবং পরিবর্তনের ঢেউ
বাঙালির প্রতিবাদী মনোভাবের ধারাবাহিকতায়, একজন অলস চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া প্রকৃতপক্ষে জনমতের এক প্রতিফলন। আশিসের কাহিনী আমাদের সামনে একটি জোড়ালো প্রশ্ন রাখে—”আমরা চিকিৎসকদের বিচার করবো তাদের কাজের মাধ্যমে, নাকি তাদের রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে?” আমাদের সমাজের পরিবর্তনে আমরা নতুন ধারার গভীর আলোচনায় প্রবেশ করতে হবে।
শেষ কথা
আশিসের কাহিনী হয়তো আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো—আমরা কোন পথে আমাদের উন্নয়ন ঘটাচ্ছি? রাজনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে নৈতিকতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি? রাজনীতি এবং চিকিৎসার এই গূঢ় সম্পর্ক নিয়ে আমাদের ভাবনা গুরুত্বপূর্ণ। সময় এসেছে আমাদের চিন্তাকে জাগিয়ে তোলার—আমরা কি সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করছি, নাকি রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্রীতদাসে পরিণত হচ্ছি?