“রানাঘাটের মহা প্রতিমার উঁচু চাঁদোয়—রাজনৈতিক উচ্চাঙ্গে আঘাত, অভিজ্ঞানহীনতার দৃষ্টান্ত!”

NewZclub

“রানাঘাটের মহা প্রতিমার উঁচু চাঁদোয়—রাজনৈতিক উচ্চাঙ্গে আঘাত, অভিজ্ঞানহীনতার দৃষ্টান্ত!”

রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখা দিলো আরেকটি সমাজের বাস্তবতার প্রতিফলন। উদ্যোক্তারাও বুঝলেন, উচ্চতার যত গান, প্রতিটি পাদদেশে আয়না বাওয়ার আবেগের ভাঙন। এখন প্রতিমা নয়, প্রয়োজন মানুষের ভিতরের মানবিক উঁচাইটুকু। রাজনীতি কি কেবল গথন? নাকি প্রকৃতিপ্রেমী মুখোশের অন্তীদর্শন!

“রানাঘাটের মহা প্রতিমার উঁচু চাঁদোয়—রাজনৈতিক উচ্চাঙ্গে আঘাত, অভিজ্ঞানহীনতার দৃষ্টান্ত!”

রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমা: এক নতুন চিত্রকল্পের দরজা খুলে দেয়

রানাঘাটে নির্মিত ১১২ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন দুর্গা প্রতিমা যেন একটি মহাকাব্যের সূচনা। উদ্যোক্তাদের দাবি, তারা বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্গা প্রতিমা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলেন। কিন্তু, বিশাল এই প্রকল্পের সাফল্য রাজনৈতিক সঙ্কটের ভেতর দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের মাঝে এক অদ্ভুত উন্মাদনা থাকলেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে তাদের বিশ্বাস স্থায়ী হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

রাজনীতি ও মানুষের বিশ্বাস: একটি টানাপোড়েন

দুর্গা প্রতিমার নির্মাণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ‘বিশ্বাস’ এবং ‘অবিশ্বাস’ খেলছে। নিম্ন মধ্যবিত্তের উদ্বেগ এবং কৃষকদের দুঃখের কারণে এক নতুন রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার অবতারণা হচ্ছে। যদিও প্রতিমা তৈরির জন্য প্রচুর তথ্য ও সহায়তা চাওয়া হয়েছিল, সমাজের মৌলিক চাহিদাগুলি এখনও সঠিকভাবে পূরণ হয়নি। জাতীয়ভাবে মানুষ কি মানসিক পরিবর্তনে অভ্যস্ত, নাকি এখনও ‘মায়ের কার্য’ নিয়ে আলোচনা করতে ব্যস্ত রয়েছে?

উদ্যোক্তাদের দায়বদ্ধতা ও জনগণের আগ্রহ

উদ্যোক্তাদের সমর্থন কমায় কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারি প্রশাসনের প্রতিশ্রুত সমর্থন এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। গড়িয়ায় চলার পথে ধুলোর কণায় মিষ্টির গন্ধের মত, প্রতিমার তৈরিতে মানুষের শ্রমের মূল্য কতটা? আলোচনায় রাজনীতির মাত্রার চেয়ে সমাজের চিন্তাভাবনার গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।

সামাজিক প্রভাব ও গণমাধ্যমের ভূমিকা

গণমাধ্যম নির্মিত এই প্রতিমার পেছনের কাহিনী প্রকাশের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদিও প্রতিমার উচ্চতায় একটি ছবি তৈরি হয়, প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ছবি কি সমাজের মৌলিক চাহিদার পূরণে সহায়ক হবে? গণমাধ্যম যেন একটি রবীন্দ্রসংগীতের মতো, যেখানে সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিকোণ: সমাজের প্রশ্ন

এছাড়া, প্রতিমার দীর্ঘস্থায়ী প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি শুধুমাত্র মাটির কাজের তত্ত্বাবধানে থাকবে, নাকি বৃহৎ সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? সমাজের অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতা যেন রাজনৈতিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। সামাজিক ও রাজনৈতিক সমতা খোঁজার জন্য তারা নতুন এক অভিযানে বেরিয়েছে।

উপসংহার: একটি নতুন প্রেক্ষাপটের জন্ম

রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তনের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে না। একদিকে দুর্গা প্রতিমার মহিমা, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রচারের কিছু চিত্র। যেখানে দেবীর উপাসনা মাটির তলায় অবস্থান করছে। রবীন্দ্রনাথের মতো চিন্তাশীল হতে হবে, অলৌকিকতার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। প্রতিমার উচ্চতার চেয়ে সমাজের উচ্চতা যে মূল বিষয়, সে সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।

মন্তব্য করুন