“রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য কমিটিতে দুই বিভাগের প্রধান, কিন্তু কর্তাদের অদৃশ্য হাতের ছাপ কি মুছবে?”

NewZclub

“রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য কমিটিতে দুই বিভাগের প্রধান, কিন্তু কর্তাদের অদৃশ্য হাতের ছাপ কি মুছবে?”

রাজ্য সরকারের সদ্য ঘোষণা করা রোগী কল্যাণ সমিতির পরিবর্তন কেবল ছাত্রদের দুর্ভোগের চিহ্ন নয়, বরং রাজনৈতিক মারপ্যাডের একটি নতুন অধ্যায়। দু’জন বিভাগীয় প্রধানের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে পরীক্ষিত নেতৃত্বের অভাব আমাদের স্বাস্থ্যসেবার নির্মম বাস্তবতা প্রকাশ করে? সৌরভ দত্তের নাম শুনে চিকিত্‍সা জগতের অনাবিল আশা ও হতাশার দ্বন্দ্ব কি তৈরি হবে? আবারও শাসকদের দুর্বলতা বিশ্লেষণের সাহসী মঞ্চে মানব কল্যাণের প্রচলিত ফ্রেমে আমাদের আবেগকে সংক্ষিপ্ত করতে হবে।

“রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য কমিটিতে দুই বিভাগের প্রধান, কিন্তু কর্তাদের অদৃশ্য হাতের ছাপ কি মুছবে?”

বিভাগীয় প্রধানদের মনোনয়ন: কার দিকে তাকাবে নতুন নেতৃত্ব?

সম্প্রতি প্রকাশিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, রোগী কল্যাণ সমিতিতে এখন থেকে দুইজন বিভাগীয় প্রধানের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদের মনোনয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ। এই পরিবর্তনটি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এটি কতটা কার্যকর হবে?

স্বাস্থ্যখাতে দায়িত্ব ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সমস্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ দত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু, কীভাবে এই কমিটি কার্যকর হবে এবং এর ফলাফল কী হবে—এ বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।

রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও সাধারণ মানুষ

রাজনৈতিক পরিবর্তন কীভাবে জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে, যার প্রতিফলন হচ্ছে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি অসন্তোষ।

মিডিয়ার প্রভাব

মিডিয়া এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন তারা দেখায় যে কতো অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে সরকার এই কমিটি গঠন করেছে, তখন সাধারণ মানুষের মনে নতুন আশা জন্ম নেয়। তবে, কখনও কখনও রাজনৈতিক চক্রান্ত সেই আশাকে ম্লান করে দেয়, ফলে স্বাস্থ্য উন্নয়নের পরিবর্তে রাজনীতি হয়ে দাঁড়ায় প্রধান বিষয়।

নতুন উদ্যমের প্রত্যাশা

প্রতি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও, সাধারণ মানুষ আশা করছে নতুন বিভাগীয় প্রধানরা তাঁদের কাজের প্রতি সদর্থক মনোভাব নিয়ে আসবেন। স্বাস্থ্য খাতের বিষয়গুলো যেন নতুন দার্শনিক আলাপের সূচনা করে। তবে, আসন্ন রাজনৈতিক নাটকের প্রেক্ষাপটে এই নেতাদের কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে, সেটাই এখন দেখার!

সংক্ষেপে: পরিবর্তনের গুরুত্ব

সমগ্র পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট যে, সরকারি খাতের এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর কার্যকারিতা নির্ভর করছে নেতাদের কার্যকরী ভূমিকা এবং জনগণের ওপর। সুতরাং, আমাদের মনে রাখতে হবে—পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রশাসনিক নয়, আমাদের সচেতনতারও প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন