অভিনেত্রী ত্রিপ্তি দিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি জয়পুরের একটি নারী শক্তি ইভেন্টে উপস্থিত হতে রাজি হয়েও আসেননি। কিন্তু ত্রিপ্তি দাবি করেছেন যে, তিনি সব প্রচারণামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন এবং কোনও অর্থ গ্রহণ করেননি। এই ঘটনা বি-টাউনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের ধারণাকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সমাজের ওপর সিনেমার প্রভাব এবং তার প্রতিফলনে অভিনেতাদের অবদান নিয়ে আলোচনা নতুন মাত্রা পাচ্ছে, যেখানে দর্শকদের প্রত্যাশাও ক্রমাগত বদলাচ্ছে।
সিনেমার পর্দার আড়ালে: ট্রিপ্তি দিমরির আলোচনা ও বিতর্ক
জয়পুরের উদ্যোক্তাদের অভিযোগের পরই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ট্রিপ্তি দিমরি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তারা দাবি করেছেন যে, অভিনেত্রী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি নিয়েছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় উপস্থিত হননি। ফিকি ফ্লোর জয়পুর শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘নরী শক্তি’ ইভেন্টে অনুষ্ঠানকারীরা জানিয়েছিলেন যে, ট্রিপ্তি প্রত্যোক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন, তবে তিনি হাজির হননি।
এখন, এই বিতর্কের জবাবে সরকারী মুখপাত্রের মাধ্যমে অভিনেত্রীর বক্তব্য এসেছে। ট্রিপ্তির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তিনি জয়পুরে তার সব কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন।” অভিনেত্রী তাঁর নতুন সিনেমা ‘ভিকি বিদ্যা কা ওয়াহ ওয়ালা ভিডিও’কে নিয়ে চলমান প্রচারণার সুবিধার্থেই সেখানে ছিলেন।
অভিনেত্রীর ভার্সেস: অনুষ্ঠানের আয়োজনকারীদের দাবির বিপরীতে
মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “ট্রিপ্তি কোনো ধরনের ব্যক্তিগত উপস্থিতি বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ফি গ্রহণ করেননি।” এই লেখনীর মাধ্যমে তা পরিষ্কার যে, অভিনেত্রী সেখানে তার প্রচারমূলক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শিল্পী যখন তাদের কাজের জন্য প্রচারণায় যায়, তখন তাদের মান সম্মান রক্ষা করা আবশ্যক।
বিচার ও বয়কটের ডাক
গুলতে হতাশ নারী উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেছেন যে, ট্রিপ্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। একজন মহিলা উদ্যোক্তা দাবি করেছেন যে, অভিনেত্রীকে ৫.৫ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। তারা ট্রিপ্তি এবং তার সিনেমার বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন, এবং কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, উপস্থিত ব্যক্তি ট্রিপ্তির পোস্টারে ভাঙচুর করে এবং অভিনেত্রীর বয়কটের ডাক দেয়।
প্রকাশ্যে আসা বিতর্কের রূপান্তর
ট্রিপ্তি দিমরি জয়পুরে ‘ভিকি বিদ্যা কা ওয়াহ ওয়ালা ভিডিও’ সিনেমার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন, যেখানে রাজকুমার রাও সহ অন্যান্য অভিনেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই সিনেমাটি ১১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। বিতর্কের এই প্রেক্ষাপট চলচ্চিত্র শিল্পের বিষয়বস্তু এবং তার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নতুন চিন্তা ভাবনা যোগ করেছে।
মিডিয়া প্রতিনিধিত্ব ও সমাজের প্রতিফলন
দর্শকদের উত্সাহ কিংবা আক্রোশ চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে। এই ধরনের ঘটনাবলীতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে যে সম্পর্ক প্রতিফলিত হয়, তা প্রতিবারের ঘটনা বা বিতর্কের মাধ্যমে পাল্টায়। আজকের দর্শকরা প্রাপ্যতা এবং স্বচ্ছতার দাবিতে আরও স্বচ্ছ হয়ে উঠতে চায়।
আসন্ন সময়ে, এটি দেখতে হবে কিভাবে চলচ্চিত্র বিষয়বস্তু ও তার শিল্পীরা সমাজের মনোভাবকে চিত্রিত করে এবং আদর্শ সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে পারেন। ট্রিপ্তি দিমরির এই বিতর্ক একটি নতুন দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছে, যা আলোচনা ও বিশ্লেষণের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করেছে।