বুড়ো বলিউড তারকা গোপিন্দা मुंबईতে আতঙ্কের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সকালে এক দুর্ঘটনায় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল থেকে বের হওয়া গুলি তার পায়ে লেগেছে। তবে এই ঘটনার পর গোপিন্দা সারাক্ষণ তার ভক্তদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং চিকিৎসক ও প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি তিনি প্লে-ব্যাক শিল্পের ভেতরের গোপন কথা তুলে ধরে বললেন, তার পায়ের আঘাত গুরুতর নয়, কিন্তু এই দুর্ঘটনা বলিউডের নিরাপত্তা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলে ধরছে। সমাজে তারকা খ্যাতির প্রভাব, মিডিয়ার মনোভাব এবং এর ফলে কিভাবে দায়বদ্ধতার বার্তা ভাইরাল হয়েছে, সেটাও ভাবার বিষয়।
বঙ্কিমময় ব্রহ্মাণ্ড়ে গোপন অস্ত্রের অপ্রত্যাশিত ছাপ: গোবিন্দের দুর্ঘটনা আমাদের কী শেখায়?
বেবাক অভিনেতা গোবিন্দ আজ সকালে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন এক অদ্ভুত দুর্ঘটনার কারণে। 60 বছর বয়সী এই অভিনেতা নিজের লাইসেন্স করা রিভলভার নিয়ে বাড়িতে ঘটে যাওয়া একটি অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছেন, যা তাঁর হাঁটুর নিচে একটি গুলির আঘাত সৃষ্টি করে। ঘটনা ঘটেছে আজ সকাল 4টা 45 মিনিটে, যখন তিনি কলকাতায় একটি শোয়ের জন্য বিমান ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গোবিদের ম্যানেজার শশী সিনহার মতে, এই দুর্ঘটনার সময় গোবিন্দ একা ছিলেন। তিনি যখন রিভলভারটি আলমারিতে রাখছিলেন, তখন সেটি হঠাৎ করে পড়ে যায় এবং গুলি চলে যায়, ফলে আহত হন অভিনেতা। আহত হয়ে তিনি দ্রুত স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি তখন কলকাতায় ছিলেন, এবং তাঁর ম্যানেজারকেও খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোবিন্দকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোবিদের অবস্থার উন্নতি: ভক্তদের সঙ্গে সংযোগ
এই ঘটনার পর, গোবিন্দ হাসপাতাল থেকে একটি অডিও বার্তা রেকর্ড করেন, যেখানে তিনি তাঁর ভক্তদের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার একজন গুলি লেগেছে, কিন্তু সেটি বের করে ফেলা হয়েছে। আমি এখানে চিকিৎসকদের জন্য এবং আপনার প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই।” অভিনেতা জানান, তাঁর ভক্তদের, বাবা-মায়ের এবং গুরুর আশীর্বাদই এই বিপদের সময় তাঁকে সাহায্য করেছে।
মেডিকেল আপৎকালীন সেবা এবং পরিবার
গোবিদের ম্যানেজার অন্তত দায়িত্বশীলতায় বলেন যে অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং আহত হওয়া সত্ত্বেও এটি প্রাণঘাতী নয়। “এটি ভগবানের দয়ার প্রমাণ যে গোবিন্দজির কেবল একটি পায়ের আঘাত হয়েছে এবং এটি কোনো গুরুতর বিষয় নয়,” সিনহা মন্তব্য করেন। গোবিন্দের মেয়ে তিনা হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন, بينما তাঁর স্ত্রী, সুনিতা আহুজা, এই ঘটনাটি জানার পর মুম্বাই আসছেন।
পুলিশের তদন্ত এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া
সাধারণত এত গুরুতর একটি ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা করে। কিন্তু গোবিন্দ নিজের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করেননি। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে গুলি চলা ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত হয়েছে এবং ফাউল প্লের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। গোবিন্দ, যিনি শিব সেনার নেতা হিসেবে রাজনীতিতেও সক্রিয়, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন, এমনটাই আশাবাদ জানান চিকিৎসকরা এবং ভক্তরা।
বঙ্গবন্ধুর নির্বাণকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে, এই ঘটনা যেন আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে বিনোদনের পাশাপাশি সচেতনতা কখনো একান্তভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গোবিন্দের এই দুর্ঘটনা যুগ্মভাবে চলচ্চিত্রের দিকপালদের ব্যক্তিজীবনের দুর্বলতাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসে, যেখানে মুহূর্তের চাঞ্চল্য মানবিক ভঙ্গুরতা এবং এই শিল্পের অঙ্গনে তাঁর স্থানীয় প্রতিচ্ছবি।