বিদ্যুতের অমানবিক ছিন্নবিচ্ছিন্নতায় নিরন্ন মানুষদের মৃত্যু, সরকারের গা অধরানো নীরবতা!

NewZclub

বিদ্যুতের অমানবিক ছিন্নবিচ্ছিন্নতায় নিরন্ন মানুষদের মৃত্যু, সরকারের গা অধরানো নীরবতা!

অসহ্য দারিদ্র্যের মধ্যে একদল মানুষ জীবন-যুদ্ধে হেরে গিয়ে বিদ্যুতের ছাত্রী থেকে জীবনদায়ী জায়গায় পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তখনই প্রতিবেশীদের স্বরে শোনা গেল আর্তনাদ। রাষ্ট্রের সে নিখুঁত নজরদারির মাঝে, চারটি প্রাণের করুণ পরিণতি যেন রাজনৈতিক নীতির কালো এক আড্ডার প্রতিফলন। নেতৃত্বের দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এখন আরো ভেসে উঠছে, যখন জনগণের নিরাপত্তা আর জলবিধ্বংসী প্রতিশ্রুতি দুইই আছড়ে পড়ছে।

বিদ্যুতের অমানবিক ছিন্নবিচ্ছিন্নতায় নিরন্ন মানুষদের মৃত্যু, সরকারের গা অধরানো নীরবতা!

রাজনৈতিক আন্দোলনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি: বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু

বাংলাদেশের গঙ্গাচড়া উপজেলার এক গ্রামে ঘটে গেছে একটি দুঃখজনক ঘটনা, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর স্থানীয়রা চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীদের কান্না শুনে স্থানীয় মানুষজন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও, প্রশ্ন উঠছে—তাদের উদ্যোগ কি যথাযথ ছিল? রবীন্দ্রনাথের একটি বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে, “শুধু কর্তব্য পালন করলেই কি মুক্তি?”

সঠিক জবাবদিহির অভাব

এই মর্মান্তিক ঘটনার পরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কি সঠিকভাবে জবাবদিহি করতে পারবে? সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে। সরকারী একজন মুখপাত্র যুক্তিযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিলেও, সেটা সবার মনে করে রাখার মতো আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যাচ্ছে। সরকারের নীতি পরিবর্তন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের অসন্তোষ ক্রমাগত বিরাজমান।

মানুষের জীবন কি শুধু একটি রাজনৈতিক খেলা?

এখন আমাদের ভাবতে হবে—সাধারণ মানুষের জীবন কি শুধুই রাজনৈতিক নেতাদের খেলার পাস? বিদ্যুৎ বিভাগ এবং প্রশাসনের ব্যর্থতার পিছনে কি কিছু অপরিণামদর্শিতা আছে? যখন মানুষ তাদের বিবেকের ডাক সংবেদনশীলতার সাথে উদ্ভাসিত করে, তখন তারা কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সাহস পায়?

গণপ্রশাসনে উদ্বেগের ছাপ

বর্তমান পরিস্থিতি সমাজকে একাধিক উস্কানিমূলক আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে পারে; যা হয়তো বাংলাদেশ রাজনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে। জনগণ তাদের মত প্রকাশ করে তোলে, তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, তাদের কথাগুলি শুধুই আবেগের বহিঃপ্রকাশ। জনগণের আওয়াজ যদি সংবেদনশীল রাজনীতির গঠনমূলক অংশ হয়ে ওঠে, তবে সেটাই সত্যিকার দায়িত্বশীলতা।

নতুন রাজনৈতিক প্রবণতা

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের তরঙ্গ ধেয়ে আসছে। জনগণের ভোটের দিন ঘনিয়ে আসছে, সাথে নতুন নতুন প্রতিশ্রুতির স্রোত। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে—এই আন্দোলনের পিছনে আসল পরিবর্তন কি ঘটতে চলেছে? সম্ভাব্য অদৃশ্য নীতির প্রভাব কি তাদের সফলতার ক্ষেত্রে বাধা দেবে? রবীন্দ্রনাথের চিন্তা অনুযায়ী, আমাদের সজাগ থাকতে হবে—কারণ, মাঝারি পথে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে কেউ ক্ষমতার খেলায় বিপজ্জনক পদক্ষেপ নেবে কি না, সেটাই হবে পরবর্তী অধ্যায়ের মূল বিষয়।

উদ্বেগের মুহূর্ত: আগামী কি?

এই অসন্তোষের স্মৃতি আমাদের ভবিষ্যতের দিকে কি ইঙ্গিত দেয়? রাজনীতির সাথে জীবনের এই অসমতা কি রক্তাক্ত পরিণতি ডেকে আনতে পারে? স্থানীয় জনগণ কি নিজেদের অধিকার আদায়ে আইন আদালতের শরণাপন্ন হবে? নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরকারের প্রতি আনুগত্য দান কি জনগণের কর্তব্য? আসুন, আলোচনা করি—সরকারের এই নৈতিক অবক্ষয় কি একদিন রাজনীতির মোড় পুনর্লিখনের প্রেরণা যোগাবে?

মন্তব্য করুন