“মমতার সতর্কবার্তা: ১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা আর ভিড়ের সমাহার, কোথায় গেল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা?”

NewZclub

“মমতার সতর্কবার্তা: ১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা আর ভিড়ের সমাহার, কোথায় গেল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন একটি নতুন নাটকের মঞ্চ তৈরি করেছেন, যেখানে ১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা সমাবেশের বিশাল ভিড়ে সুরক্ষার খোঁজে সতর্কতার বার্তা। ধর্মীয় উন্মাদনার মাঝেও প্রশাসনের ভাবনা ও জনচেতনা কি তথাকথিত ‘জাদুকরের’ সাম্রাজ্যের অধীন? সমাজের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অস্থিরতা আর রাজনৈতিক ঢাকঢোলের মাঝে প্রশ্নগুলো যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার মতোই গূঢ়।

“মমতার সতর্কবার্তা: ১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা আর ভিড়ের সমাহার, কোথায় গেল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা?”

১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা: উৎসবের মাঝেই সুরক্ষার গুরুত্ব

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার উৎসবে ভিড় জমায় হাজিরা, যখন প্রতিমার উচ্চতা ১১২ ফুটে পৌঁছায়, তখন উৎসবটির আনন্দ বেড়ে যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, প্রতিমার আড়ম্বর যত বেশি, তত বেশি হবে ভিড়, যা করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি যথার্থ নয়।

সুরক্ষার অভাবের প্রশ্ন

মমতার সতর্কবার্তা শোনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১১২ ফুটের প্রতিমা যেন এক শান্ত দুনিয়ার চিত্রায়ন, যেখানে মানুষের উত্তেজনা এবং সচেতনতা ধীরে ধীরে ম্লান হতে যাচ্ছে। প্রশাসন কি আসলে এই পরিস্থিতির সমাধান দেবে, নাকি এ সবের আড়ালে রাজনৈতিক চাল চলবে?

রাজনীতির মাঝেও সুরক্ষা

মমতার মন্তব্য বা প্রশাসনের নীতির বিশ্লেষণ করলেই জানা যাবে, সবকিছুতে রয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত হবে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোনিবেশ করা, যেন তারা নিরাপদে থাকতে পারে। তবে প্রশ্ন ওঠে, সত্যিই কি সুরক্ষা রয়েছে? ভিড়ে থাকা সবাই কি আনন্দে কাটাতে পারবে? যখন কলκυুণের মাঝে করোনার সুর বাজবে?

সামাজিক আলোচনার ঢেউ

এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু মানুষের প্রশ্ন—এটি কি সাংস্কৃতিক উৎসব, নাকি নিরাপত্তার অভাবের সংকেত? সমাজে এক নতুন স্রোত তৈরি হয়েছে, যেখানে ধর্মীয় উন্মাদনা এবং স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে সংঘাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে, “অসভ্যতাই সভ্যতার স্বরূপ।”

মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন

মানুষের মনোভাব এখন পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এখন সবাই বুঝতে পারছে, ধর্মীয় উন্মাদনা এবং বৃহৎ মূর্তির চেয়ে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হলো, কি আসবে সেই যুগান্তকারী পরিবর্তন? আমাদের চিন্তাভাবনায় অনুসন্ধিৎসা থাকা উচিত—এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব কি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে?

শেষকথা: প্রতিবাদ ও নতুন সূচনার অঙ্গীকার

রাজনীতি, সমাজ এবং সংস্কৃতির সম্পর্কের জটিলতা বোঝা কি আমাদের পক্ষে সম্ভব? মহাকালের এই নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে আমরা নিজেদের চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কি জানতে চাই? বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজন বিশ্বাসের ভিত্তিতে এক নতুন আলোচনা।

চলুন, এই দুর্গাপূজার উৎসবে সুরক্ষা এবং সচেতনতাকে অগ্রাধিকার দিই, যেন সকলের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত হয়।

মন্তব্য করুন