ফওয়াদ খান এবং মাহিরা খানের “দ্য লিজেন্ড অফ মৌলা যাদ” চলচ্চিত্রটি বিশ্বজুড়ে বৈচিত্র্যময় প্রশংসা পেলেও, ভারতের কিছু অংশে এটি মুক্তির প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপের কারণে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারতীয় সিনেমায় প্রবেশ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, ফলে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং শিল্পের বিকাশে নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। 2016-এর পরে পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, এখন তা দর্শকদের পছন্দ এবং চলচ্চিত্রের প্রতিনিধিত্বের উপর নতুন প্রশ্ন তুলছে।
ফিল্ম প্রেমীদের জন্য হারানো স্বপ্ন: ‘দ্যা লিজেন্ড অফ মাউলা জাট’-এর মুক্তি নিয়ে বিতর্ক
গ্লোবাল প্রেম ও প্রশংসার মধ্য দিয়ে ফিরছে ফাওয়াদ খানের এবং মাহিরা খানের ‘দ্যা লিজেন্ড অফ মাউলা জাট’। সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলোতে জানা গেছে, ছবিটি ভারতে মুক্তি পেতে চলেছে, তবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায়। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ছবির মুক্তি এখন সম্ভাবনা دکھাচ্ছে একদম ম্লান। তথাকথিত কিছু গোষ্ঠী ছবির মুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে, যা বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলেছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অর্থেই আসছে অভিযোগ
এনআইএনের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে যে, গোষ্ঠীটি ভারতীয় সিনেমাগুলির ২০১৯ থেকে চালু হওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পাকিস্তানি সিনেমার মুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ। এমএনএস উইং-এর প্রেসিডেন্ট অ্যামেই খোপকার বলেছেন, “আমরা ভারতের কোনো পাকিস্তানি সিনেমা বা অভিনেতাকে বিবেচনা করব না।” তিনি আরো যুক্ত করেছেন, “এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে না। যদি এটি ঘটে, তবে শক্তিশালী আন্দোলন হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সেনারা মৃত্যুবরণ করছে… পাকিস্তানি অভিনেতাদের এখানে কেন প্রয়োজন? हमारी কি পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই?”
সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি
২০১৬ সালের উরি হামলার পর থেকে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারতীয় প্রকল্পে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে ফাওয়াদ খান এবং মাহিরা খান ইতোমধ্যে ‘খুবসুরত’ (২০১৪) এবং ‘রইস’ (২০১৭) সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেছেন। ‘দ্যা লিজেন্ড অফ মাউলা জাট’ মূলত ১৯৭৯ সালের পাকিস্তানি সিনেমা ‘মাউলা জাট’-এর একটি রিবুট, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রতিপক্ষদের মধ্যে চিরকালীন দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তৈরি। ছবিটি পাকিস্তানে ১৩ অক্টোবর ২০২২-এ মুক্তি পায়।
সিনেমার সমাজে প্রভাব
এখন প্রশ্ন উঠছে, কি কারণে এই বিতর্কের জন্ম হচ্ছে? ভাবে কিভাবে একজন শিল্পী কিংবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটতে পারে, তা আমাদের চিন্তায় আলোকপাত করে। সিনেমা শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং এটি একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি, যা ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতিগত বিভाजनকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক উত্তেজনা সিনেমার মুক্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকpreferentials
দেশ এবং সমাজের মাঝে চলচ্চিত্র শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু গোষ্ঠীর রাজনৈতিক মতাদর্শ চলচ্চিত্রের মুক্তি এবং শিল্পীদের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলার বদলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ভারত এবং পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদী আবহাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আরো গম্ভীর হবে, তা আন্দাজ করা কঠিন নয়। সিনেমার বিষয়বস্তু ও নির্মাণশৈলী পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে সেই সঙ্গে সাধারণ দর্শকের মনোভাবও বদলাচ্ছে।
উপসংহার: শিখার মৌলিক পাঠ
এখন দেখার বিষয়, ফাওয়াদ খানের ‘দ্যা লিজেন্ড অফ মাউলা জাট’ দেশের মধ্যে কতটা আলোচিত হবে এবং এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা। তাই বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সমাজের সাথে এর আন্তসম্পর্ক কতটা সুদৃঢ়, সেটা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা চলবে। আশা করা যায় শিল্পীরা তাদের প্রতিভার মাধ্যমে এই প্রতিবন্ধকতার সীমানা অতিক্রম করবেন এবং বিধ্বস্ত রাজনৈতিক শ্রেণীর মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবেন।