বলিউডে নতুন এক মহাকাব্য ধাঁচের সিনেমা ‘ছহাওয়া’, যেখানে ভিকি কৌশল ও রাশমিকা মন্দান্না চিত্রিত করবেন চট্ট্রপতি সাম্ভাজি ও তার স্ত্রী নিয়েসুবাইয়ের চরিত্র। বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের সংগীত ও বিশাল ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সের মাধ্যমে পরিচালক লক্ষ্মণ উটেকর তৈরি করেছেন এক বর্ণময় চূড়ান্ত অনুষ্ঠান, যা আমাদের ঐতিহাসিক সংস্কৃতির দর্শক হিসেবে ভাবতে বাধ্য করছে। ১৬৭০-এর দশকে পটভূমি নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি দর্শকদের কাছে ঐতিহাসিক ঘটনার খানিকটা বাস্তব উপস্থাপন করে তুলে ধরবে, যদিও হলিউডি প্রভাব এবং নতুন গল্প বলার ধরন বলি ইন্ডাস্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের ভাবনার সুযোগও রাখে।
বোলিউডের নতুন মহাকাব্য: ছাওয়া
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন ইতিহাসনির্ভর সিনেমা ‘ছাওয়া’ সত্যিই এক মহাকাব্য হতে চলেছে। পরিচালকের আসনে লাক্সম্যান উটেকর এই ছবি নির্মাণের জন্য ভিকি কৌশল এবং রাশমিকা মন্দান্নাকে সকলের সামনে হাজির করবেন চত্ৰপতি সাম্বাজী ও তাঁর স্ত্রী শতাব্দী যেসুবাইয়ের চরিত্রে। সিনেমাটির মূল আকর্ষণ হবে রাজা সাম্বাজীর সিংহাসনে বসার অনুষ্ঠান, যা পুরো কাহিনীর প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করবে। শোনা যাচ্ছে, এই বিশেষ মুহূর্তের জন্য বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান একটি গান সৃষ্টি করেছেন, যা এক বিশাল স্কেলে নির্মিত।
এই ছবির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে গবেষণা করা হয়েছে, বিশেষ করে সঙ্গীত যা ঐতিহ্যবাহী মারাঠি নৃত্যসংগীতের উপর ভিত্তি করে তৈরি। জানা যাচ্ছে, এআর রহমান ঐ যুগের গানের জন্য মৌলিক উপাদানগুলো যেমন ঢোলকি, টুনটুন ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। উপরন্তু, গানের কথাও ‘পাওয়াদা’ নামে বিখ্যাত মারাঠি কবিতার স্থ ফরম্যাট দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা সেই সময়ের রাজাদের গুণগান গাইতে ব্যবহৃত হত। মিড-ডে রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বিজয় গাঙুলী, যিনি পূর্বে ‘স্ত্রি ২’-এর গানগুলোর কোরিওগ্রাফি করেছিলেন, ১,৫০০ জন লোককে নিয়ে আসিয়ে অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত করেছেন। পুরো রাইগড় শহরকে দেখানো হয়েছে আসলে সাম্বাজীর সিংহাসনবিহারে উদযাপন করতে।”
বর্ণনা: সাম্বাজীর সিংহাসনবিহার
রাজসিক এই গানটির পেছনে ৭০০ জন ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন এবং এর শুটিং হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাইগড় দুর্গের নকশায় তৈরি একটি সেটে, যেখানে টিম চার দিন ধরে কাজ করেছে। “আधिकारिक সিংহাসনবিহার ১৬ জানুয়ারী, ১৬৮১-এ রাইগড় দুর্গে অনুষ্ঠিত হয়। ছাওয়া-র গবেষণার সময় একটি লন্ডনের পত্রিকা ওই সিংহাসনবিহারের সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে, যা পরিচালককে এই ঐতিহাসিক ঘটনার পুনর্জন্মে সাহায্য করেছে। গানে ভিকির সাম্বাজী যজ্ঞ করে এবং তাঁর স্ত্রী যেসুবাই রাজাভিষেক ও আরতি করেন। যখন রাজ্য আনন্দিত হয়ে ওঠে, রাজা অবশেষে সিংহাসনে বসে যান,” সূত্রটি জানিয়েছে।
ছায়ার বৈচিত্র্যে চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তন
বিকাশোত্তর চলচ্চিত্রের দুনিয়ায়, ‘ছাওয়া’ এরকম একটি ছবি যা কেবল বিনোদনই নয়, বরং সমাজে ঐতিহাসিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়। প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ভিকি কৌশল ও রাশমিকা মন্দান্নার অভিনয় বিশেষ করে দর্শকদের মধ্যে কী প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন মূল বিষয়। ছয় তারকা নির্মাতা এই ছবির মাধ্যমে ভারতে রাজা সাম্বাজীর চিন্তাভাবনা ও সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। যেখানে অতীতের মহাকাব্যিক কাহিনী নতুন করে দর্শকদের সামনে উঠে আসছে।
সোনালী চালে নবদিগন্তের দিকে এগিয়ে যেতে থাকা এই ছবি ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অক্ষয় খন্না মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভূমিকায় থাকবেন। ভাবি বলা ভাবী সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে চর্চার মাধ্যমে আরো নতুন দর্শকের মনে প্রস্ফুটিত হয় ভিকির চরিত্র ‘চত্ৰপতি সাম্বাজী’। এই ছবির মাধ্যমে বোলিউডের বর্তমান অবস্থার একটি সাটirical চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।