বলিউডের বিশাল জাঁকজমক ও বিলাসিতা ছিছাঁটে, যশ চোপড়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ উদ্যোগ—যশ চোপড়া স্কলারশিপ প্রোগ্রাম—হাসিল করবে নিম্নআয়ের ফিল্ম কর্মীদের সন্তানদের জন্য নতুন দিগন্ত। উচ্চশিক্ষার জন্য ৫ লাখ টাকার সহায়তা নিশ্চিত করবে, যাতে সমাজের পেছনের যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও উন্নতি ঘটে। এভাবে, সিনেমা জগতে পেশাদারিত্বের নতুন স্বর সন্ধান দিয়ে, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বপ্নের সিঁড়ি উন্মুক্ত করছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অঙ্গন।
বলিউডের অস্তিত্বের অতল উদ্ভাস: যশ চোপড়া ফাউন্ডেশন-এর নতুন শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প
আজ, যশ রাজ ফিল্মস-এর দাতব্য শাখা, যশ চোপড়া ফাউন্ডেশন (YCF), এক বিশেষ এবং পরিবর্তনশীল উদ্যোগের সূচনা ঘোষণা করেছে – YCF শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প, যশ চোপড়ার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে!
এই শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পটি বিশেষভাবে নিম্ন আয়ের শ্রেণীর শিশুদের সমর্থনের জন্য নির্ধারিত, যারা হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের সদস্যদের সন্তান। এই উদ্যোগটি নিশ্চিত করবে যে, আমাদের শিল্পের শক্তি – এই অজানা নায়কদের – ভুলে যাওয়া হবে না। এই শ্রমিকদের ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (FWICE) এর নিবন্ধিত সদস্য হতে হবে যাতে তাদের সন্তানরা এটি উপভোগ করতে পারে, merit-এর ভিত্তিতে।
একটি নতুন ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ
এই উদ্যোগটি যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ব্যাপক مالی সহায়তা প্রদান করবে, যাতে তারা ম্যাস কমিউনিকেশন, ফিল্মমেকিং, প্রডাকশন ও ডাইরেকশন, ভিজ্যুয়াল আর্টস, সিনেমাটোগ্রাফি এবং অ্যানিমেশন-এর মতো ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার সুযোগ পেতে পারে। প্রতি ছাত্রের জন্য মোট ৫ লক্ষ টাকার সমর্থন প্যাকেজ এই শিক্ষা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যে প্রতিভার ব্যবধান পূরণ করা। YCF তাদের শিক্ষা অর্থায়নে, শুধু তাদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সুযোগ করে দিচ্ছে না, বরং তাদের পরিবারগুলির সাথে প্রজন্মের পর প্রজন্মের শিল্পের প্রতি একটি অর্থবহ অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
যশ চোপড়ার দর্শন
এই উদ্যোগ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, YRF-এর সিইও অক্ষয়ের বিদহানি বলেন: “প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং আমাদের প্রতিষ্ঠাতা যশ চোপড়া সব সময় হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তার দর্শন আমাদের কোম্পানির সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে। সুতরাং, তার ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে, আমরা হিন্দি চলচ্চিত্র পরিবারের শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি মিশনে আনন্দ পাচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই উদ্যোগটি যোগ্য ছাত্রদের তাদের স্বপ্নগুলির পিছনে চলতে এবং আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে একটি স্বাক্ষর তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
নির্বাচনের প্রক্রিয়া
নির্বাচিত প্রার্থীরা একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবেন এবং সফল আবেদনকারীরা এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই উদ্যোগ কি শুধুমাত্র একটি উপহার, নাকি এটি আমাদের সমাজের সামাজিক চিত্রের কল্পনায় নতুন চোখ নিয়ে আসবে? যখন চলচ্চিত্রের কাহিনীর দুনিয়া নতুন নতুন মাত্রা গ্রহণ করছে, তখন এর প্রভাব সমাজের সভ্যতাতেও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে, নতুন প্রজন্মের এই উদ্যমী শিল্পীরা তাঁদের কর্মের মাধ্যমে একটি নতুন পথ প্রশস্ত করবেন।