১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৮ মাইল এলাকায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, কালিম্পং জেলা প্রশাসন কি কেবল বর্ষার ওপর নির্ভরশীল? প্রশাসনের যথাযথ প্রস্তুতির অভাব এবং আবহাওয়ার তাণ্ডব—এখন জনগণের জন্য সর্বদা এক বৈপরীত্য। নেতাদের আকস্মিক উদ্ভাবনী ক্ষমতা যেন বর্ষার মতোই, সময়মতো আসে না।
কাশ্মীরের ২৮ মাইলের ধস: কার্যকরী শাসন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ
সম্প্রতি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৮ মাইল এলাকায় ঘটে যাওয়া ধস আমাদের শাসন এবং সুশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন আলো ছড়িয়েছে। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের এই দুর্যোগে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রবল বর্ষণের কারণে ধসের ঘটনাটি ঘটেছে এবং আবহাওয়া দফতরের তথ্য মতে, আবারো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হৃদয়বিদারক দৃশ্যপট
এখন প্রশ্ন উঠছে, আমাদের শাসকেরা কি দূরদর্শী পরিকল্পনা তৈরি করতে সক্ষম? এই ধসটি কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং এটি প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্রও তুলে ধরে। পাহাড়ি অঞ্চলের টাকশাল বাজারে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সরকারের দুর্বলতা ও জনগণের হতাশা নতুন সমস্যা তৈরি করেছে।
শাসকদের মানবিকতা ও প্রকৃতিক দুর্যোগ
সাধারণ মানুষের উদ্বেগের প্রতি সরকারের মনোযোগের অভাব স্পষ্ট। সরকার কর্তৃক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হলেও, প্রকৃতি আমাদের যে বিপদের সংকেত পাঠাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশাসন কতটা সচেতন? এই প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, বাস্তব পরিস্থিতির গভীরতা উপলব্ধি করা জরুরি।
মিডিয়ার ভূমিকা: তথ্যের কেন্দ্রবিন্দু
মিডিয়া কি এই দুর্যোগের সত্য তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছে, নাকি বৃহৎ স্বার্থে নিরপেক্ষ থেকে যাচ্ছে? বর্ষার পানি থেকে কি ধরনের সংকট আসতে পারে, তা জানা থাকা জরুরি। মিডিয়া যদি সঠিক তথ্য প্রদান করে তাহলে তা জনগণের অধিকার সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
সমাজের রাজনীতি: বিস্তৃত প্রভাব
রাজনৈতিক নেতাদের সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তা সমাজের সব স্তরে প্রভাব ফেলে। জনগণের জীবনে দুর্যোগ এলে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি কি বাস্তবে পরিণত হয়? সরকারের উচিত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিবেশ সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া।
শেষ কথা: পরিবর্তনের পথে পদক্ষেপ
এখন আমাদের ভূমি রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যদি আমাদের শাসকরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেন, তবে জনগণের উন্নয়ন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার মাধ্যমে একটি উন্নত সমাজ গড়তে সক্ষম হব। সেই দিন আসুক, যখন শাসক-শোষকের যুঁজ থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পাব।