শিক্ষক সমিতি আইআইটি খড়গপুরের চিঠিতে মন্ত্রীর কাছে উচ্চ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ পরিচালক চাওয়া, স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে ধরছে। যুগের প্রহরী যেন রাজনীতির প্রাসাদে গণতন্ত্রের প্রাসাদে নারীর সুরসিক কথা বলে, অথচ নীতির শিরা-উপশিরা কীভাবে বিপন্ন হয়ে যায়, সেটি যেন কোনো এক অশরীরী দৃষ্টির অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে।
শিক্ষক সমিতির দাবি: পরিচালকের নির্বাচন স্থাপিত হোক যোগ্যতার ভিত্তিতে
আইআইটি খড়গপুরের শিক্ষক সমিতি কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে পরবর্তী পরিচালক নির্বাচনের জন্য একজন উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির মনোনয়ন করা হয়। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে, প্রতিষ্ঠানটিতে স্বজনপোষণের প্রবণতা বাড়ছে, যা এই চিঠির মাধ্যমে আরো পরিষ্কার হয়েছে। শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি একটি মানসিক বিষণ্নতা সৃষ্টি করছে, যেখানে মেধার পরিবর্তে পরিচিতির গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষণ: শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও স্বজনপোষণের পরিণতি
শিক্ষক সমিতির অভিযোগগুলোর পেছনে স্বজনপোষণ বা নিকটাত্মীয়দের প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা অতি উদ্বেগজনক। একজন শিক্ষকের অভিব্যক্তিতে, “যেখানে মেধা এবং যোগ্যতার মূল্যায়ন হওয়া উচিত, সেখানে পরিচিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।” এভাবে তারা বিষয়টিকে একটি সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বরাদ্দকে প্রভাবিত করবে না বরং জাতির ভবিষ্যতকেও বিপদে ফেলতে পারে।
জনমত ও মিডিয়ার ভূমিকা
মিডিয়া বর্তমানে এ পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করছে না। গণমাধ্যমের রিপোর্টগুলোতে প্রাধান্য পেয়েছে অন্ধকার দিকগুলো, যেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগের পেছনে আসল ঘটনাবলী অনুসন্ধানের প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিচারে, প্রতিটি সমস্যাকে যেন ছদ্মবেশে ফেলা হয়েছে—এমন ধারণা জন্মাচ্ছে। সঠিক প্রশ্ন হল, কবে পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে? কীভাবে জনগণ এই নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সক্ষম হবে?
কমিটি গঠন: পরিবর্তনের সম্ভাবনা
শিক্ষকরা সরকারকে তাদের দাবি জানিয়েছেন, কিন্তু বিষয়টি শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজের সীমার মধ্যে থেমে নেই। যদি রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা এই সংকট মোকাবেলা না করেন, তবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এটি একটি গোলটেবিলের মতো, যেখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, কিন্তু কতজনই বা প্রকৃত অর্থে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত?
উপসংহার: পরিবর্তনের পথে আমাদের পথনির্দেশ
শিক্ষকদের এ আবেদন থেকে উঠে এসেছে একটি নম্র এবং শক্তিশালী প্রত্যাশা। রাবীন্দ্রিক কাব্যিকতা আমাদের শিক্ষার মুক্তি ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়—যা আমাদের মূল লক্ষ্য। সরকার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নীতিনির্ধারকদের উচিত মানুষের এ চাহিদার প্রতি সর্বদা সতর্ক থাকা। আমাদের এখন ভেবে দেখা উচিত, আমরা কীভাবে এই সংকটের অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবো, কারণ এর মাধ্যমেই আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন হতে চলেছে।