কারণ জোহরের মন্তব্যের পর, মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া তাদের টিকিটের দাম নিয়ে তীব্র ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। কেজো দাবি করেছেন, একটি পরিবারের চারজন সদস্যের সিনেমা দেখার খরচ ১০,০০০ টাকা, যা বাস্তবে মাত্র ১,৫৬০ টাকা। চলচ্চিত্রের শিল্পে দর্শকদের আগ্রহ ও উপভোগ্যতা নিশ্চিত করতে সিনেমার মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া আরও প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
কলকাতার সিনেমার বাল্যকালীন সমস্যা: ‘পপকর্ন’-এর জনপ্রিয়তা ও কেরিয়ারের অন্ধকার সূর্য
বলিউডের প্রসিদ্ধ নির্মাতা করণ জোহরের মন্তব্যগুলোর সাথে সম্প্রতি “মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া” (MAI) একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন করেছে। করণ জোহর দাবি করেন, একটি পরিবারের চারজন সদস্য যদি সিনেমা দেখতে যায়, তাহলে তাদের খরচ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, “২০২৩ সালে, ভারতের সমস্ত সিনেমার গড় টিকিট মূল্য ছিল ১৩০ টাকা। দেশের বৃহত্তম সিনেমা চেইন, PVRINOX এর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় টিকিট মূল্য ছিল ২৫৮ টাকা। এছাড়াও, এই সময়ে PVRINOX-এ খাবার এবং পানীয়ের গড় ব্যয় ছিল ১৩২ টাকা। ফলে পরিবারের চারজনের মোট গড় ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১,৫৬০ টাকা। যা সংবাদে প্রকাশিত ১০,০০০ টাকার সাথে পুরোপুরি ভিন্ন।”
চা-বিস্কুটের বদলে পপকর্ণের দুনিয়া
করন জোহর আরও বলেন যে, অনেক পরিবারে শিশুদের সিনেমা হলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ রয়েছে, কিন্তু পপকর্ন ও অন্যান্য খাবারের উচ্চ মূল্যের কারণে তারা সিনেমা দেখতে যেতে চান না। তিনি বলেন, “আমরা দেখতে পাই পরিবারগুলো সিনেমা হলে যেতে চায় না। কারণ শিশুরা পপকর্ন চায়, কিন্তু তাদের সামর্থ্য নেই।”
MAI তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, সিনেমার মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনেক ডায়নামিক এবং নানা রকম ফ্যাক্টরের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেমন জায়গা, সপ্তাহের দিন এবং সিটের প্রকার। তারা বার্তা দিয়েছে যে ডিজিটাল পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে ছাড় এবং প্রচারনা দেওয়া হয়, যা কখনও কখনও সিনেমার খরচ ৫০% কমিয়ে দেয়।
সেকশনের ব্যবস্থাপনা ও দর্শকের চাহিদা
MAI বলেছে, “ফিল্মের চাহিদা মূলত বিষয়বস্তু দ্বারা প্রভাবিত হয়, মূল্যের দ্বারা নয়। আমাদের শিল্পটি বাজারের শক্তিগুলির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।” বিশেষ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে, তারা দর্শকদের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।
জানা যায়, জোহরের সাথে সহমত পোষণ করে জোয়া আখতারও সিনেমা হলে টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য এবং খাবারের দাম নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “মানুষ সিনেমা দেখতে পারছে না।”
একটি নতুন পদব্রজ এবং দর্শকদের পরিবর্তনশীল রুচি
এজন্য সমাজের মধ্যে চলচ্চিত্রের প্রভাব বিশাল। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা ভিন্ন ভিন্ন গল্প শুনতে পাই, যা আমাদের আচরণ এবং নাগরিক জীবনকে রূপান্তরিত করতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তনশীল গতিতে, দর্শকদের চাহিদা ও তাদের সচেতনতা বাড়ছে।
ফলস্বরূপ, চালচিত্রের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কিভাবে এই বিতর্ক আমাদের সিনেমा শিল্পের গতিবিধিকে প্রভাবিত করবে এবং জনগণের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বৃদ্ধি করবে।