মমতার ‘বীর সম্মানের’ প্রতিশ্রুতি, কেষ্টকে দেখা করলেন না—রাজনীতির দুর্ভেদ্য দিগন্তে বিভ্রান্তির নতুন অধ্যায়!

NewZclub

মমতার ‘বীর সম্মানের’ প্রতিশ্রুতি, কেষ্টকে দেখা করলেন না—রাজনীতির দুর্ভেদ্য দিগন্তে বিভ্রান্তির নতুন অধ্যায়!

বোলপুরের কেষ্টর প্রত্যাবর্তন এক নাটকীয় আয়োজন, কিন্তু মমতার সঙ্গ না থাকা যেন রাজনৈতিক নাটকের অভিনব কাহিনী। তাঁকে ‘বীরের সম্মান’ দিয়ে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া, এখন সেই প্রতিশ্রুতির নিঃশ্বাসে কি কোনো অম্লভাব তৈরি হয়েছে? আমাদের সমাজের নেতাদের কথা বলার ছন্দ কি সত্যিই অসঙ্গত, নাকি বৈপরীত্যের নাটকীয়তা?

মমতার ‘বীর সম্মানের’ প্রতিশ্রুতি, কেষ্টকে দেখা করলেন না—রাজনীতির দুর্ভেদ্য দিগন্তে বিভ্রান্তির নতুন অধ্যায়!

কেষ্টর প্রত্যাবর্তন: রাজনীতির নাটক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বচ্ছতা

বোলপুরে কেষ্টপালের মুক্তির পর তার প্রথম দিনটি অনেকটাই অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। কেষ্টা, যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘বীরের সম্মান’ দিয়ে ফিরিয়ে আনবেন, সেই কেষ্টকে দেখা করতে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান আরও জটিল করে তুলেছেন। রাজনৈতিক সংকটটি শুধু দুটি নেতার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করছে না, বরং এটি সরকারের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

মমতার বিবৃতি: কি মন্ত্রমুগ্ধকরণের চেয়ে বেশি?

রাজনীতিকদের মধ্যে পরিসংখ্যান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যখন কেষ্ট গ্রেফতার হয়েছিল, তখন মমতা বলেছিলেন তিনি তাকে ‘বীর’ সম্মান দেবেন। তবে পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী কেন কেষ্টকে অবজ্ঞা করেছেন—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই রাজনৈতিক নাটকে, নেতা ও জনগণের মধ্যে আগের বাস্তবতার অবশিষ্টতা কি রয়ে গেছে?

সামাজিক প্রভাব: জনসচেতনতার পরিবর্তন

জনসাধারণের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মনোভাব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কেষ্ট সম্পর্কে উভয় দিকই আলোচনা হচ্ছে। জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত থাকবে। যখন নেতাদের সমাজের কাছে দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করা হয়, তখন কি সেই বৈসাদৃশ্য সাধারণ মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে?

মিডিয়ার ভূমিকা: পরিস্থিতি কিভাবে চিত্রিত হচ্ছে?

মিডিয়া প্রতিবেদনে রাজনৈতিক নেতাদের চিত্রায়ণ একটি ধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মিডিয়া নেতাদের কল্পনা অনুযায়ী চিত্রিত করে, কিন্তু একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও তৈরি করে। ফলে রাজনৈতিক আলোচনা আজকাল অপ্রাসঙ্গিক এবং অতিরঞ্জিত হয়ে পড়ছে।

মনে পড়ছে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গি

যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করা হয়, তবে রাজনৈতিক নাটকের এই চিত্র অসহিষ্ণুতা ও কঠোরতার ফলাফল হিসেবে দেখা যেতে পারে। তিনি এটি উল্লেখ করেছেন যে, “অন্তর্যামীকে দেখা যায় না-এটি ভ্রম নয়, বরং আমাদের সমাজের আন্দোলনের তীব্রতা প্রকাশ করে।” বর্তমান রাজনীতিও অনেকটা একই রূপে দৃশ্যমান।

উপসংহার: রাজনীতির এই সার্কাস কি অপরিবর্তনীয়?

সমগ্রভাবে, কেষ্টপাল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে অবিশ্বাস্য দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা কি সমাজের রাজনৈতিক চিত্রে এক ভিন্ন প্রভাব ফেলছে? নেতাদের সাংবিধানিক অবস্থান কীভাবে আলোচিত হবে? রাজনৈতিক নেতার সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি কি অত্যন্ত জরুরি? আমাদের চিন্তাভাবনা এবং মনোভাবের পরিবর্তন কি আমাদের দ্বন্দ্ব এবং সংকল্প থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হবে?

মন্তব্য করুন