“বিনোদনের পর্দায় সমাজের সংকট: নীতু চন্দ্রের ‘কারী্যাঠি’ চলচ্চিত্রে আলো মেলানোর যাত্রা”

NewZclub

“বিনোদনের পর্দায় সমাজের সংকট: নীতু চন্দ্রের ‘কারী্যাঠি’ চলচ্চিত্রে আলো মেলানোর যাত্রা”

বলিউডের নতুন সিনেমা ‘করিয়াত্থি’র প্রথম ঝলক প্রকাশ করেছেন নীতু চন্দ্র। এই সিনেমা সামাজিক সমস্যাগুলোকে তুলে ধরছে, যেমন ত্বক রঙের বৈষম্য ও মহিলা ভ্রূণ হত্যা। নীতু বলেন, সিনেমা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসবে এবং পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা যোগাবে, যা দর্শকদের মননে গভীর প্রভাব ফেলবে। সিনেমাটি একাধিক ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে, যা বাংলা এবং বিহারের অন্যান্য ভাষার গুরুত্বকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।

“বিনোদনের পর্দায় সমাজের সংকট: নীতু চন্দ্রের ‘কারী্যাঠি’ চলচ্চিত্রে আলো মেলানোর যাত্রা”

কিন্তু এই বলিউডের আকাশে নতুন দিগন্তের সূচনা নাকি শুধু একঝলক?

অভিনেত্রী ও প্রযোজক নীতি চন্দ্র তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত भोजपुरी ছবি ‘কারিয়াত্তি’-র প্রথম রূপ উন্মোচন করেছেন, যা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক নীতিন নীরা চন্দ্র দ্বারা পরিচালিত। নীতি নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আকর্ষণীয় পোস্টারটি শেয়ার করে এই প্রজেক্টের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

মহাত্মার গল্পে সমাজের প্রতিচ্ছবি

শিরোনাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ‘কারিয়াত্তি’ একটি ছোট গল্পের ভিত্তিতে তৈরি, লেখক সারোজ সিং। এটি ত্বক রঙের বৈষম্য এবং নারীর গর্ভপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু আলোচনা করে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ন সামাজিক থিমগুলোকে মিশ্রিত করে একটি গল্প নির্মাণ করছে।

বহু ভাষায় বিশ্বব্যাপী পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে

এই সিনেমাটি বহু ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে, যা একটি বৈচিত্র্যময় দর্শক শ্রোতার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে তৈরি। এতে জাতীয় নাট্য বিদ্যালয়ের স্নাতক অন্নু প্রিয়া ও দীপক সিংয়ের মতো প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বরা অভিনয় করছেন এবং এটি আগামী বছর থেকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত।

সমাজে পরিবর্তনের আলো জ্বালায় একটি ছবির শক্তি

নীতী চন্দ্র বলেছেন, “এই সিনেমাটি সমাজের উদ্বেগজনক বিষয়গুলোকে আলোকিত করতে চায়, যা পরিবর্তন অনুপ্রাণিত করবে এবং বৈষম্য ও লিঙ্গ সমতার বিষয়ে আলোচনা তৈরি করবে। আমার লক্ষ্য বিহারের ভাষায় নির্মিত সিনেমাগুলোকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি দেওয়া।”

কাহিনীতে গভীরতায় সমাজের ছবি

পরিচালক নীতিন নীরা চন্দ্র মন্তব্য করেন, “আমার উদ্দেশ্য হলো আকর্ষক গল্প বলার মাধ্যমে সামাজিক ইস্যুগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া, যা দর্শকদের কেবল কৌতূহল তোলে না, বরং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করে।”

সিনেমার আদলে পরিবর্তনের ধারা

এটি তাঁদের চতুর্থ ছবি, এর আগে ‘দেশওয়া’, ‘মিথিলা মাখান’ এবং ‘জ্যাকসন হল্ট’ মুক্তি পেয়েছে। গত ছবি ‘জ্যাকসন হল্ট’ থ্রিলার কাহিনীর জন্য প্রশংসিত হয়েছে, এবং ‘মিথিলা মাখান’ জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছে, যা তাদের চলচ্চিত্রের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

বর্তমানের শিল্পীর চাহিদা ও প্রতিফলন

নীতী চন্দ্র বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সঙ্গীত শো ‘উমরাও জান’巡回 করছেন। তিনি শেষবার ‘সনি মোশন পিকচার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘নেভার ব্যাক ডাউন রিভোল্ট’-এ দেখা গিয়েছিলেন।

সমাজে সিনেমার প্রভাব এবং বিরূপ পরিণতি

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গতিপ্রকৃতি এবং সামাজিক বিষয় নিয়ে ছবির গুরুত্ব আজকের সময়ে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের যেসকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তুলে ধরা হচ্ছে, সেগুলো কি সত্যি সমাজে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে? নীতী চন্দ্রের ‘কারিয়াত্তি’ কি সত্যিকার অর্থে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে মুক্তির দিন পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন