বলিউড অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত কৃষি আইনের পুনর্বহালের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি জানান, তার মন্তব্যগুলি ব্যক্তিগত এবং তার দলের অবস্থান নয়। এদিকে, বিপরীত চিত্র হিসেবে কংগ্রেস তার কথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা প্রধানত হরিয়ানার আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। কাল্পনিক চলচ্চিত্র “ইমারজেন্সি” নিয়েও আলোচনা চলছে, যেখানে রানাউতের রাজনৈতিক মতামত এবং সিনেমার সামাজিক প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হচ্ছে।
কঙ্গনা রানাউতের বিতর্কিত মন্তব্য: কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার আহ্বান
বলিউড অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত কৃষি আইন পুনর্বহালের পক্ষ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তিনি বুধবার পরিস্কার করেছেন যে, তাঁর মন্তব্যগুলো ব্যক্তিগত এবং তাঁর দলের অফিসিয়াল অবস্থানকে উপস্থাপন করে না। থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি করেছে রানাউতের মন্তব্য যা তিনি রবিবারের এক অনুষ্ঠানে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় করেছিলেন। সেখানে তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান যে, ২০২১ সালে প্রতিবাদ আন্দোলনের পর বাতিল হওয়া কৃষি আইনগুলো পুনর্বহাল করা উচিত।
কঙ্গনার ব্যক্তিগত মতামত কৃষি আইন নিয়ে
বিরোধী প্রতিক্রিয়ার মুখে, রানাউত সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ (পূর্বে টুইটার) এ তার মন্তব্যগুলো বিজেপির থেকে আলাদা করে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি শিল্পী নই। আমি বিজেপির একজন কর্মী, এবং আমার মতামত দলটির অবস্থান হওয়া উচিত। তাই যদি আমি কারো সাথে অন্যায় করে থাকি কিংবা কারো মনে আঘাত করে থাকি, আমি দুঃখিত, এবং আমি কথাগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছি।”
কৃষকদের স্বার্থে কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার আহ্বান
রানাউত অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন যে, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন মূলত কয়েকটি রাজ্যে কেন্দ্রিত ছিল। তিনি বলেন, “কৃষকরা ভারতের উন্নতির গ্রহক। শুধুমাত্র কিছু রাজ্যে এই আইনগুলোর বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো হয়েছে। আমি নিবেদন করছি, কৃষি আইনগুলো ফেরত আনতে সরকারের প্রতি।” রানাউত যুক্তি তুলে ধরেন যে, আইনগুলো পুনর্বহাল করা হলে কৃষকদের জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
রানাউতের মন্তব্যগুলো বিরোধী রাজনৈতিক মহলের নজর এড়ায়নি। কংগ্রেস দল তার মন্তব্যগুলোকে কেন্দ্র করে সমালোচনা করেছে, এই ইঙ্গিত দিয়ে যে, এটি শাসকদলের কৃষি আইনগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টার অংশবিশেষ। কংগ্রেস নেতারা উল্লেখ করেছেন যে, রানাউতের মন্তব্য এলেকশন চলাকালে এসেছে, যেখানে হরিয়ানা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২১ সালের কৃষক আন্দোলনে এই রাজ্যটি ছিল কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষ করে দিল্লির সীমান্তে, যেখানে কৃষকরা তিনটি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
রানাউতের চলচ্চিত্র এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব
রাজনৈতিক মন্তব্য ছাড়াও, রানাউত তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্র ‘এমারজেন্সি’ নিয়েও আলোচনা তৈরি করছেন। চলচ্চিত্রটি বর্তমানে সিবিএফসি’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। খবর অনুযায়ী, বম্বে হাইকোর্ট সিবিএফসি-কে এমারজেন্সি সিনেমাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
সামাজিক প্রভাব এবং বলিউডের প্রেক্ষাপট
এখন বলিউডের প্রেক্ষাপটে কঙ্গনার মন্তব্যগুলো অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। অভিনয় শিল্পের একটি অংশ হিসেবে শিল্পীদের শুধুমাত্র বিনোদন প্রদান করা উচিত, তবে রাজনৈতিক বক্তব্যের দ্বারা তা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হতে পারে। ‘এমারজেন্সি’ সিনেমা শুরুর পর থেকে কঙ্গনা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু তাঁর বাতিক্রমী এবং বিতর্কিত মন্তব্য তাকে রাজনৈতিক এবং সামাজিক আলোচনায় রেখেছে।
মূল বিষয়: জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবারের মধ্যে চলচ্চিত্রের দরকার
নতুন প্রজন্মের দর্শক এখন চলচ্চিত্রে গভীর অর্থ সান্নিধ্য পাচ্ছেন এবং তারা চাচ্ছেন সমাজের সমস্যাগুলোকে তুলে ধরার জন্য। নির্বাচনের সময় নেতাদের মন্তব্য যেমন চলচ্চিত্রের গল্প বলার থিমগুলোকে নির্দেশ করতে পারে, তেমনি এটি অঙ্গীকার করে যে, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে চলেছে। কঙ্গনা রানাউতের রাজনৈতিক অবস্থান এবং তাঁর কর্মজীবনের প্রভাব চলচ্চিত্রের সামাজিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন প্রশ্ন তুলে ধরছে।