শান্তনু সেনের বক্তব্য: “সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই কাম্য!”

NewZclub

শান্তনু সেনের বক্তব্য: “সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই কাম্য!”

নানান বিতর্কের মাঝখানে শান্তনু সেনের এবারের বক্তব্যে যেনো প্রতিধ্বনিত হলো রাজনীতির এক অদ্ভুত নাট্যমঞ্চের কথা। তিনি বলেন, ‘আমার সেক্রেটারি হওয়া উচিত কিনা, এ নিয়ে আলোচনা চলছে, অথচ তিনি মনে করছেন, আইএমএ-এর অরাজনৈতিক অবস্থানটা বজায় রাখতে সরে যাওয়া ভালো। এ যেন আমাদের সমাজের উদাসীনতা, যেখানে নেতৃত্বের আসনে বসার লড়াইয়ে গুণগত পরিবর্তন সংকুচিত। রাজনীতির ভেতর隐藏 থাকা সদা পরিবর্তনশীল সমীকরণগুলো দেখেও জনতার দীর্ঘশ্বাসের কোনো শেষ নেই। মানুষ কি সত্যিই পরিবর্তনের অপেক্ষা করছে, নাকি সাংস্কৃতিক থিয়েটারে বেঁচে থাকা এক অতীতের সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে?

শান্তনু সেনের বক্তব্য: “সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই কাম্য!”

নবতম রাজনৈতিক পরিবর্তন: শান্তনু সেনের মন্তব্য ও আলোচনা

রাজনীতির ক্ষেত্রে নতুন এক ঝড় বইছে। সম্প্রতি, আইএমএ’র সংক্ষিপ্ত বার্তায় শান্তনু সেনের মন্তব্য সাধারণ মানুষ ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। “অনেকেই আমাকে সেক্রেটারি বানাতে চান,”—এভাবে তিনি একদিকে রাজনৈতিক অধিকারের চর্চার মাঝে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর অরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কতটা কার্যকর হবে?

শান্তনু সেনের প্রতিফলন: একটি সংলাপ

শান্তনু সেনের বক্তব্যে মানবিকতার একটি প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। তিনি বলেছেন, “আইএমএ একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করুক,”—এটি একটি গভীর রূপকথার মতো। রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে অরাজনৈতিক এই তত্ত্ব কি সমাজে পরিবর্তনের জোয়ার আনতে পারবে? নাকি, এটি মাত্র একটি তাত্ত্বিক প্রচেষ্টা যা সময়ের প্রেক্ষাপটে হারিয়ে যাবে?

নেতৃত্বের কার্যকারিতা

রাজনীতির মাঠে চলমান লড়াইয়ের পেছনের কাহিনী অবশ্যই প্রবল। বর্তমান নেতৃত্বের কার্যকারিতার প্রতি নাগরিকদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শান্তনু সেনের মন্তব্য কি দেশের গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে? তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কে সেই নেতা, যে জনগণের প্রকৃত কল্যাণে কাজ করবে?

সমাজের পরিবর্তনশীল কণ্ঠস্বর

জনসমাজে যে পরিবর্তন ঘটছে, তা হচ্ছে রাজনৈতিক ও সামাজিক দুই ক্ষেত্রেই। আসন্ন নির্বাচনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে, এই অংশগ্রহণ কি শুধুমাত্র ভোটের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি নতুন সামাজিক কাঠামোর জন্ম দেবে? বর্তমান রাজনীতি ‘রাজনীতি মানে ক্ষমতা’—কিন্তু কি আমরা আমাদের সমাজের প্রকৃত প্রয়োজনের দিকে এগোচ্ছি?

গণমাধ্যমের ভূমিকা

গণমাধ্যমের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অপরিহার্য। সংবাদ মাধ্যম যখন রাজনৈতিক কথোপকথনকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়, তখন সাধারণ মানুষের ধারণা ও মতামত নতুন আঙ্গিকে ফুটে উঠে। তবে সাম্প্রতিক কিছু সংবাদপত্রের নেতিবাচক সংবাদে মনে হয়, ‘সংবাদ কি প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন?’

উপসংহার: পরিবর্তন ও অঙ্গীকার

শান্তনু সেনের এই উক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রাজনীতির কিংবা সমাজের সত্যিকার নেতৃত্বের জন্য একটি স্বাধীন মানসিকতার প্রয়োজন। পরিবর্তনের এই মুহূর্তে আমরা কি নতুন সূচনা দেখতে পাবো, নাকি পুরনো নেতৃত্বের গণ্ডিতে আবার আটকে পড়বো? কেবল সময়ই উত্তর দেবে, তবে মনে রাখা জরুরি—প্রত্যেক পরিবর্তনের পেছনে থাকে একটি অনুপ্রেরণা, এবং সেই অনুপ্রেরণা আমাদেরই দিতে হবে।

মন্তব্য করুন