বঙ্গ সিপিএম recent সোশ্যাল মিডিয়ায় কিউ আর কোড দিয়েছে বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগে, বলছে, “বানভাসি মানুষের পাশে বাংলার মানুষ।” তবে প্রশ্ন হলো, সরকারী মুখে ভরা মানবতার ছবি আর বাস্তবের মধ্যে যে অন্ধকার, সেখানেও কি কিউ আর কোড কাজ করবে? সমাজের এই দ্বন্দ্বে রাজনীতির খোরাক খুঁজে বেড়াচ্ছে জনগণ, আর নেতারা যেন শুধুই ঘাটের জল খুঁজছেন।
বন্যার প্রতিশ্রুতি ও রাজনৈতিক নাটক
বর্তমানে আমাদের সমাজ একটি অদ্ভুত অবস্থায় রয়েছে। যখন প্রকৃতি তার নিষ্ঠুরতা নিয়ে হাজির, ঠিক তখনই রাজনীতির নাটক শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বঙ্গ সিপিএম দ্বারা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কিউ আর কোড প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে ত্রাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিউ আর কোডের পেছনের নজর
বঙ্গ সিপিএমের এক্স হ্যান্ডেলে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, “বানভাসি মানুষের পাশে বাংলার মানুষ।” প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি বাংলার মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে? কিংবা উদ্ধারকাজের জন্য সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসবে? বা এই উদ্যোগ কি কেবল রাজনৈতিক নাটকের একটি অংশ? এর পেছনে রয়েছে গভীর মনস্তাত্ত্বিক প্রতিফলন।
রাজনীতির পরিবর্তনের সময়
এখন কি বাংলার জনগণ সৃষ্টির দিকে এগোবে, নাকি আবার স্বার্থপরতার অন্ধকারে ফিরে যাবে? নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু দুর্যোগের সময় তা কতটা বাস্তবানুগ হয়ে ওঠে, তা বুঝতে পেরে জনগণ সচেতন হবে কি? আশা করা যায়, সচেতন বাংলার জনতা এবার আলোকিত হবে।
গ্রামে গ্রামে অবস্থা ও সরকারের ব্যর্থতা
গ্রামে গ্রামে এখন শুধু হতাশা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার আবেদন যেমন সামাজিক মাধ্যমে হচ্ছে, তেমনি আমাদের লোকাল গভর্নমেন্টের ভূমিকা নিয়ে ভাবনায় থাকা উচিত। এটি কি আমাদের রাষ্ট্রে একটি গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? সরকারের আশ্বাসগুলো তখন হাস্যকর মনে হয়।
মানুষের প্রয়োজন ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
মুখ্যমন্ত্রী সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও, সময়মতো কার্যকর সহযোগিতা পৌঁছাতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবতা মাঠে কতটা প্রতিফলিত হবে? নাকি আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে “ভোট নাও, ত্রাণ দাও” স্লোগানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি?
সমাজের মেরুদণ্ডে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব
এই দায়িত্ববোধের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে, কিন্তু বিদ্যমান আদর্শিক সংবেদনশীলতার শিক্ষা নেয়া বেশ কঠিন। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের ক্ষতির প্রভাব সমাজে কিভাবে পড়বে, তা এখন প্রশ্ন। ইতিহাসের পাতা মুছলে কি আদর্শ শুধু একটি চরিত্র হয়ে যাবে রাজনীতির ভূবনে?
যখন অদৃশ্য শক্তিগুলো স্বপ্নের রাজ্যের চিত্র তুলে ধরে, তখন আমাদের মনে হবে— সফরের মধ্যে আমরা কি কিছু শিখলাম? রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির পরিবর্তে, আসুন সমাজের স্থায়ী পরিবর্তনের দিকে নজর দিই এবং প্রকৃতির যত্নের সাথে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করি।