রাহী অনিল বারভে, ‘তুম্বড’ ছবির পরিচালক, সিক্যুয়েলে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছেন, কারণ তিনি একটি ত্রয়ী সিনেমা তৈরিতে ব্যস্ত। ‘পাহাড়পাঙ্গিরা’ এবং ‘পাকশীতীর্থ’ নিয়ে তাঁর কর্ম পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে, তিনি নারীবাদ এবং সামাজিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে একটি নতুন ধারাতে সিনেমা তৈরি করতে চাইবেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে, বারভে অভিনয় এবং রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন, যা বর্তমান বলিউডের গতিশীলতার একটি মর্মস্পর্শী আভাস।
বরাবর তumbbad: পরিচালক রাহি আনিল বারভে সিক্যুয়েলে থাকবেন না
বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য একটি বড় খবর, বর্তমান হরর ফ্যান্টাসি ফিল্ম তumbbad-এর পরিচালক রাহি আনিল বারভে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আসন্ন সিক্যুয়েলে যুক্ত হচ্ছেন না। সাম্প্রতিক সময়ে, প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক সোহম শাহ জানিয়েছেন যে তumbbad-এর সিক্যুয়েল তৈরির কাজ চলছে। এই ঘোষণাটি আসে তumbbad-এর পুনঃপ্রেক্ষণীর পরে, যা ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ মুক্তি পায়।
বারভে এর দৃষ্টিভঙ্গি: তumbbad, পাহাড়পিংগিরা, এবং পাকশীতীর্থের ট্রিলজি
একটি পোস্টে, বারভে তার সিক্যুয়েল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, জানিয়ে করছেন যে তিনি একটি বৃহৎ প্রকল্পে কাজ করছেন: একটি ট্রিলজি, যা তumbbad দিয়ে শুরু হয়েছে এবং এর পরবর্তী দুটি ছবি হবে পাহাড়পিংগিরা এবং পাকশীতীর্থ। তার মতে, “দশক ধরে, আমি এই অসাধারণ ট্রিলজির উপর কাজ করেছি, যেখানে অনেক প্রযোজক পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে এটি ছিলেন পিতৃত্বের লোভ। এটি আমার একটি ব্যক্তিগত এবং অন্ধকার সংস্করণ।”
প্রথম দৃশ্য: পাহাড়পিংগিরা
বারভে জানান, পরবর্তী সিনেমা পাহাড়পিংগিরা feminism-এর dawn অনুসন্ধান করবে এবং সতীপ্রথার মতো দমনমূলক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবে। তবে, তিনি এই আসন্ন প্রকল্পগুলির গল্প বা চরিত্র সম্পর্কে বেশি তথ্য শেয়ার করেননি। এটি চলচ্চিত্র শিল্পের একটি নতুন গতি নির্দেশ করে যেখানে সমাজের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
তumbbad সিক্যুয়েল থেকে বারভের Departure
তumbbad সিক্যুয়েল থেকে বিরতি নিলেও, বারভে দলকে শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সোহম এবং আদেশের জন্য সকল শুভেচ্ছা চাই; আমার মনে হয় এটি একটি বিস্ময়কর সাফল্য হবে।” সোহম শাহ বারভেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার আসন্ন প্রকল্পগুলির জন্য।
আবেগের বন্ধন
বারভে তার পোস্টে আরও জানিয়েছেন যে তিনি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পাহাড়পিংগিরা-এর প্রযোজনা শুরু করতে চান, গুলকান্ডা টেলস এবং রক্তব্রহ্মাণ্ড শেষ করার পর। এই দুই প্রকল্পেরও অপেক্ষা করছে দর্শকরা, যদিও বর্তমানে বিস্তারিত তথ্য কম।
এই সমস্ত সিদ্ধান্তগুলি বিজেপি সিনেমার দর্শকদের জন্য নতুন প্রজ্ঞা নিয়ে আসছে। চলচ্চিত্র শিল্পের দিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কি সৌন্দর্য এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে, তা দেখতে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।