রাজনীতির আঁধারে ‘সিটি অফ ভয়’র ভাস্কর্য: আলকাতরা দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে নাগরিকের গর্জন!

NewZclub

রাজনীতির আঁধারে ‘সিটি অফ ভয়’র ভাস্কর্য: আলকাতরা দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে নাগরিকের গর্জন!

মহানগরীর দেয়ালে আঁকা স্লোগানগুলো উবে গেছে, কিন্তু ভয় আর জানালার গায়ে লেখা “আমরা ন্যায় চাই” গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যেন রাজনৈতিক নাটকের চরা। সরকার আর জনগণের মাঝে ক্রমশ বাড়ছে দূরত্ব, স্বাধীন মত প্রকাশের চিৎকারের মাঝে সত্যি কি আর কিছু রবে। এমন এক সমাজ, যেখানে ন্যায় শুধু অঙ্গীকার; আতঙ্কের ছাঁয়া হয়ে যায় রাস্তায়।

রাজনীতির আঁধারে ‘সিটি অফ ভয়’র ভাস্কর্য: আলকাতরা দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে নাগরিকের গর্জন!

সিটি অফ ভয়: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক পরিবর্তনের নতুন অধ্যায়

শহরের দেয়ালে লেখা হচ্ছে নানা স্লোগান, যেখানে বারবার শোনা যাচ্ছে, “সিটি অফ জয় নয়, সিটি অফ ভয়।” এই স্লোগান রাজনৈতিক এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। আর একটি বিষয় সত্যি যে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” স্লোগানটি সময়ের সাথে সাথে আলکাতরা দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

রাজনীতি ও সমাজের সম্পর্ক: পুলিশের চোখে বাস্তবতা

রাজনীতির আলোচনায় উঠে এসেছে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও জনসমস্যার প্রতিফলন। যখন গণতন্ত্র কেবল ভোট দেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ, তখন নাগরিকদের মনে কি ঘটে, সেটি ভাবার বিষয়। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কার্যকলাপের দিকে নজর দিতে হবে, কারণ জনতার মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে, যা এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।

নেতাদের উদাসীনতা এবং জনগণের প্রতিবাদ

সংবিধানের লঙ্ঘন ও প্রশাসনের ব্যর্থতা সত্ত্বেও নেতাদের প্রচেষ্টা নিজেদের আড়াল করে রাখা। নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের স্রোত দ্রুত বাড়ছে, এবং সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে “সত্যিকারের প্রতিবাদ” দমনের চেষ্টা করছে। নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করলেও, এই স্লোগানের মূল সত্তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

সমাজের গভীরে আন্দোলনের ভাবনা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব স্লোগান সমাজের মৌলিক সমস্যাগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। পুলিশের নজরদারির অন্ধকারে থাকা আন্দোলনগুলি মানবাধিকার ও সমাজের উন্নয়নের পক্ষে জোর গলায় কথা বলছে। বর্তমানে জনগণ রাজনীতির পরিবর্তে প্রধান হয়ে উঠছে, যা সমাজের নিরাপত্তা ও অগ্রগতিতে সংকট সৃষ্টি করছে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা

অবস্থা অনুধাবন করে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তারা জনকল্যাণে কাজ করে, নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থ রক্ষা করে? জনগণের মধ্যে দুটি প্রশ্ন চলছে – অধিকার, নাকি নিপীড়ন? যখন সকলেই প্রশ্ন জাগাচ্ছে, গণমাধ্যম কি সত্যিই ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে?

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নাকি অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ?

এই পরিস্থিতি আসলে জনগণের প্রতিফলন। তারা জানে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” একটি সাধারণ স্লোগান নয়; এটি মানবজাতির গভীর আকাঙ্ক্ষার চিহ্ন। আগামী দিনে যদি সরকার অন্ধকারে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, জনগণ তাদের বিজয় নিশ্চিত করবে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “মেঘনা নদীর জল যেভাবে প্রান্তরে এসে পড়ে, তেমনিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়ের নতুন নকশা।”

মন্তব্য করুন