“শিল্পীর নামে অভিযোগ, সৎ সহচরীর সাহসী প্রতিরোধ: বলিউডের আধুনিক নাটকের প্রেক্ষাপট”

NewZclub

“শিল্পীর নামে অভিযোগ, সৎ সহচরীর সাহসী প্রতিরোধ: বলিউডের আধুনিক নাটকের প্রেক্ষাপট”

বলিউডের চিত্রনাট্যে এখন নতুন মোড়, যখন জনপ্রিয় চোরিওগ্রাফার জানি মাস্টারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। তার স্ত্রী আইশা এই অভিযোগের সত্যতা প্রশ্ন করেছেন, দাবি করেছেন প্রমাণ ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করবেন না। অভিযোগকারী নারী বলছেন, মাস্টার তাকে ছয় বছর ধরে শোষণ করেছেন, কিন্তু আইশা তার দাবি যাচাই করতে বলেছেন। চলচ্চিত্রের জগতের এই ঘটনায় আবেদন ও ক্ষমতার খেলার মুখোমুখি হওয়া, সমাজে আইনি জটিলতা এবং মানবিক সম্পর্কের জটিলতা দেখা যাচ্ছে। এটা দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে একজন ব্যক্তির রূপালি সাহস অন্যের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

“শিল্পীর নামে অভিযোগ, সৎ সহচরীর সাহসী প্রতিরোধ: বলিউডের আধুনিক নাটকের প্রেক্ষাপট”

ক্ষমতার খেলা, অভিযোগের ছায়ায়: বলিউডের নতুন কাণ্ড

বলিউডের চর্চায় লালিত নতুন একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে প্রসিদ্ধ কোরিওগ্রাফার জাদী মাস্টার। সেপ্টেম্বর ১৯ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি তার প্রাক্তন কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত। এদিকে, তার স্ত্রী আইশা এখন তার স্বামীর পক্ষে দাঁড়িয়ে অভিযোগগুলোর সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।

প্রমাণের দাবি

একটি সাক্ষাৎকারে, আইশা জাদী মাস্টারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো নিয়ে নিজের অশ্রুত বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই অভিযোগ যে মহিলা যখন ১৬ বছর বয়সী ছিল তখন তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, এটি অস্বস্তিকর। এর মধ্যে সত্যিত্ব নেই। যদি সে প্রমাণ দেখাতে পারে, তাহলে আমি মাস্টারকে ছেড়ে দেব। আমি গত ১৪ বছর ধরে মাস্টারের সাথে আছি এবং আমাদের কোনো সন্তান নেই। আমি তাকে ভালোভাবে জানি। তার প্রকৃতি এ ধরনের অভিযোগের সাথে মেলে না। কিভাবে সে আগে কখনো অভিযোগ করেনি? এবং কিভাবে সে নিজেকে এক বছর ধরে একাকী রেখেছে, তারপর হঠাৎ করে অভিযোগ করতে এসছে?”

অভিযোগকারীকে প্রশ্ন

আইশা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যা হলো অভিযোগকারী আগে কখনও জাদী মাস্টারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি অভিযোগের সময়কাল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “কেন এখন এই অভিযোগ উঠলো? এর পেছনে কি কোনো গোপন উদ্দেশ্য আছে?”

অভিযোগের কাহিনী

২১ বছর বয়সী ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন যে, জাদী মাস্টার তাকে গত ছয় বছরে কয়েকবার যৌন নির্যাতন করেছেন। তার দাবি, কাজের সুযোগের বিনিময়ে তাকে যৌন কার্যকলাপে বাধ্য করা হয়েছিল। ৪০ পৃষ্ঠার FIR-এ অভিযোগকারীর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই মহিলা ১৬ বছর বয়সী ছিলেন যখন তার উপর নির্যাতন শুরু হয়েছিল। জাদী মাস্টার তার ক্ষমতার অবস্থান ব্যবহার করে তাকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও শোষণ করেছেন।

বিনোদনের শিল্পে সংস্কার এবং সমাজের অভিঘাত

এই ঘটনা বলিউডে ঘটমান রাজনৈতিক ও সামাজিক দ্বন্দ্বগুলোকে উন্মোচিত করেছে। শিল্পের প্রকৃতি কি সত্যি এতটাই অন্ধকারে ঢাকা যে, যিনি আলো ছড়ানো কোরিওগ্রাফার, তিনিই ভয়ঙ্কর অভিযোগের শিকার? সম্প্রতি বলিউডে নানা ধরনের ঘটনা, অভিযোগ এবং সামাজিক আন্দোলন নজর রাখছে। এই প্রেক্ষাপটে বলিউডের উদ্ভাবনী গল্প বলার ধরন কিভাবে পরিবর্তনের পথে আগাচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলা উচিত।

আলোচনার দরকার

অবশ্যই, চলচ্চিত্র শিল্পের দায়িত্ব রয়েছে যে তারা এ ধরনের অভিযোগের প্রতি সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাক। সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য সিনেমাগুলোর ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এ ধরনের অভিযোগগুলি প্রমাণ করে যে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের ভাবতে হবে, আসলেই আমরা কোন পথে এগোচ্ছি? বলিউডের এই খেলার মাঝে, সম্ভাবনা এবং নান্দনিকতার পাশাপাশি নৈতিকতার প্রশ্নও উঠে এসেছে।

মন্তব্য করুন