পূজোর সময় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে মৌসুমী বায়ু অবশিষ্ট, ফলে প্রায় যেন মানব জীবনও আর্দ্রতায় আঁটকা পড়ে। সরকার তো কতজনের সুখ-শান্তির কথা বলে, অথচ জনগণের কষ্টে তাঁদের ভেদাভেদের ধোঁকা। উষ্ণোত্তর দিনগুলোতে কেমন অস্বস্তি! নেতাদের উষ্ণ ভাষণ হয়তো আবহাওয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম নয়, কিন্তু জনগণের মানসিক অবস্থার বিষণ্ণতা তো বাড়ছেই।
পুজোর সময়ের আবহাওয়া: আর্দ্রতা ও রাজনৈতিক যন্ত্রণা
মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাহারের লক্ষণ নেই, ফলে বাতাসে জলীয় বাস্পের ছড়াছড়ি থাকবে। দিন দিন বাড়ছে উষ্ণতা, আর তার সঙ্গে থাকছে রাজনৈতিক তোলপাড়। নেতাদের খেলা যেন গরমের সঙ্গে চলেছে, কিন্তু সাধারণ জনতার জীবন? তারা কি রোদে পুড়ছে, নাকি প্রতিবাদে?
নেতৃত্বের চাপ: সমাজে কি পরিবর্তন আনছে?
উষ্ণতার মধ্যে আর্দ্রতা যেমন অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তেমনি নেতাদের উচ্চারণও সাধারণ মানুষকে পীড়িত করছে। নিজেদের স্বার্থে গড়ে তোলা প্রলয়ের মতো আলোচনা, অথচ জনগণের মৌলিক অধিকার? অধিকার কি এখন শুধুই সাদা কাগজের ওপর লেখা?
মিডিয়ার ভূমিকা: চিত্রিত হচ্ছে কি আমাদের আকাঙ্ক্ষা?
মিডিয়া কি আসল সত্য তুলে ধরতে সক্ষম? এর মাধ্যমে কি জনগণের কণ্ঠস্বর সঠিকভাবে স্থান পাচ্ছে? মৌসুমী বায়ু কিংবা রাজনীতির ধারার মতো এই চলমান উষ্ণতা সমাজের পরিবর্তনের পক্ষে কি সুসংবাদ বয়ে আনবে, নাকি সমস্যাগুলোর উপর করে যাবে চাদর?
জনতার হাত—সংগ্রামের সময় এসেছে!
মৌসুমী অচল, রাজনীতি কি স্থায়ী? সাধারণ মানুষের পরিবর্তন সাধনের সময় এসেছে। পুজোর উৎসবে, আমরা কি বায়ুর পরিবর্তন নিয়ে ভাবছি, নাকি নেতাদের নাটকের খেলা দেখে নিজেদের অর্থহীনতায় হারাচ্ছি? এই উষ্ণতার মাঝে এসে উঠুক নতুন উচ্চারণ!