জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভে রাজ্য সরকার চাপে, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবিতে তারা অনড়। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের অভাব ও শাসকদলের দাদাগিরির বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ যেন করোনা-সংক্রমিত অঙ্গনের মরণব্যাধি। অবাধ নির্বাচন না হলে, ভবিষ্যতের চিকিৎসকরা কি শুধু চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েই বাঁচবেন, না কি রাজনীতির নীলনকশার সহচরী হয়ে উঠবেন?
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: সরকারের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ
রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে। তাদের দাবি, শাসক দলে দাদাগিরির বিরুদ্ধে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে মেডিক্যাল কলেজে অবাধ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা উচিত। স্থানীয় নেতৃত্বের খামে আটকা পড়া এই চিকিৎসকদের চিন্তায় যেন রবীন্দ্রনাথের রবির ক্ষীণ আলোও ফিকে হয়ে গেছে।
শাসকদলের দাদাগিরি: ছাত্র সংসদের অভাব
এখন রাজ্যের কোনো মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই। ছাত্রদের অসন্তোষ বাড়ছে, এবং তাদের এ অবস্থার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সময় এসেছে। চিকিৎসকেরা যে মাঠে কাজ করেন, সেখানে তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে এক প্রশ্ন উঠছে—শাসকদল কি এই সময়ে আবারও সমাজের মৌলিক অধিকারের পুনর্বিন্যাস ঘটাতে চায়?
নতুন চেতনাবোধের উন্মেষ
জনসংগঠনের এই আন্দোলন শুধু ডাক্তারদের নয়, বরং এক নতুন সমাজবীক্ষণও। সারা বাংলায় যখন শিক্ষার্থী ও চিকিৎসক উভয়েই একসাথে তাদের অধিকার আদায় করতে এগিয়ে আসছেন, তখন রাজ্য রাজনীতির ভুল পথে চলে যাওয়া যেন এক বিষয়। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগেও, প্রচারের আড়ালে বিরোধের খোঁজ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।