রাজনৈতিক মাটিতে এখন যেন পুলিশের গ্রেফতারি খেলায় অনুমতির নাটক চলছে; সাম্প্রতিক আলোচনায় উঠে এসেছে, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া পুলিশ সদস্যদের আটক করা যাবে না। মানে, কাদের ওপর আস্থার বাঁধন? নেতাদের কর্মদক্ষতার চেয়ে কি প্রশাসনের ‘অনুমতি’ই বড়? জনগণের চেতনা আর কবে আলোয় ফিরবে, তা বোধহয় রাজনীতির ব্যবস্থাপকরা ভুলে গেছেন।
রাজনৈতিক সত্তার অস্বস্তি
সম্প্রতি, টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে গ্রেফতারিরও বিচারপতি আন্দোলনের মঞ্চে আলোচনা চলছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া পুলিশ অফিসারদের গ্রেফতার করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেন একটি বিচিত্র নাটকের মঞ্চে, ক্ষমতার খেলা চলছে ভিন্ন ভিন্ন পরিমণ্ডলে।
শাসনব্যবস্থার দ্বন্দ্ব
লালবাজারের কোণে উঠছে প্রশ্ন, কেন রাজনৈতিক নেতাদের ইচ্ছা অনুসারে প্রশাসনের কাজগুলো পরিচালিত হবে? সমাজের প্রত্যেক স্তরের জন্য কি ‘উপযুক্ত’ বিচার ব্যবস্থা এখনো অবশিষ্ট আছে? সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কি আদৌ গুরুত্ব পাবে, নাকি নেতাদের সিদ্ধান্তের দাসত্বে আমরা চলবো?
বিপরীত বিশেষণ
যেকোনো পলিটিক্যাল ডাইনামিকসের মধ্যে উন্নয়নের পরিবর্তে, আমাদের সমাজে কি স্থান পেল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে কোনো জবাবদিহির সংস্কৃতি? এগুলো নিশ্চয়ই ভাবনার উদ্রেক করে—শুধু কি প্রশ্নবিদ্ধ অর্কেস্ট্রার তালের খেলাই আমাদের সামনে?