বলিউডে সম্পর্কের জটিলতা নতুন মাত্রা পেয়েছে যখন ক্রুশ্ণা অভিষেকের মামী সুনিতা আহুজা প্রকাশ্যে রাজি হননি ক্রুশ্ণা এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একই পর্দায় থাকতে। সুনিতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাদের সম্পর্ক অশান্ত, যা পুরো ইন্ডাস্ট্রির নাটক ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। ক্রুশ্ণা এর প্রতিক্রিয়ায় জানান, সম্পর্ক মেরামতের আশা করেন। এই ঘটনা বলিউডের পারিবারিক রসায়ন ও জনসংযোগের দিকেও এক নতুন দৃষ্টি আনে, যেখানে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব এই শিল্পের মুখরোচকতা তৈরি করে।
দুর্গম সম্পর্কে টিকে থাকা: গোবিন্দ ও ক্রুশ্ণের পারিবারিক দ্বন্দ্বের গল্প
পাঠকেরা জানেন যে, ক্রুশ্ণা আবিষেক ও তার ‘মামা’ গোবিন্দের সম্পর্ক বেশ টেঞ্চরড। একাধিক বার উভয়েই নিজেদের সম্পর্কের চাপা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। हाल ही में, গোबিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা একটি সাক্ষাৎকারে জানান যে, তিনি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ তে অংশ নিতে চান না, কারণ তার পক্ষে ক্রুশ্ণাকে একই মঞ্চে দেখা সম্ভব নয়। সুনীতা স্পষ্ট বলেন, তিনি ক্রুশ্ণা ও তার স্ত্রী কাশ্মীরা শাহের সাথে কখনো স্ক্রীনে থাকতে চান না। এ নিয়ে ক্রুশ্ণা বলেন, “তিনি এখন শুধুমাত্র রুষ্ট আছেন, আমি শীঘ্রই তাকে বোঝাব।”
হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে একটি বিশেষ কথোপকথনে, ক্রুশ্ণা আহুজা সুনীতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, “আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। মামী সবসময় আমাকে তার সন্তানের মতো ভালোবেসেছেন এবং আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তার রুষ্ট হওয়ার সব অধিকার আছে। আমি জানি তিনি সব কিছুর কথা রাগের মাথায় বলেন, কিন্তু এটি কিছুই নয়। আমি শীঘ্রই তাকে মানিয়ে নেব।”
পারিবারিক দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত প্রকাশ
‘টাইমআউট উইথ অংকিত’ পডকাস্টে সুনীতা যখন ক্রুশ্ণা ও কাশ্মীরা সম্পর্কে মন্তব্য করেন, তখন সুনীতা বলেন, “আমি মিথ্যা বলব না, ক্রুশ্ণা-কশেমির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক নেই… আমি শোটি করব, যদি তারা সেখানে না থাকেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনের মূলনীতিটি হলো, যদি আমি একবার কাউকে ছেড়ে দিই, তাহলে পরবর্তীতে ঈশ্বরও আমাকে ভুল বোধে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। সুতরাং, আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না।”
মিডিয়া ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
পাঠকদের জানানো উচিত যে, ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ তে কপিল শর্মা কে হোস্ট হিসেবে রাখা হয়েছে, যেখানে প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্চনা পোরণ সিং, ক্রুশ্ণা আবিষেক, সুইনিল গ্রোভার, কিকু শারদা এবং রাজীব ঠাকুর। তবে, এটি লক্ষ্যণীয় যে সুনীতা আহুজা এবং গোবিন্দ যখন ক্রুশ্ণা এর অংশ ছিলেন না, তখন তারা কপিল শর্মার শো’তে অতিথি হিসেবে এসেছেন। এই ঘটনাগুলি পরিবারিক সম্পর্কের প্রান্তে একটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, যা সমাজের প্রতি বিদ্যমান মানসিকতার প্রতীকও।
বর্তমানে বলিউডের এই সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। প্রতিটি টিভি শো বা সিনেমায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা সামাজিক মাধ্যমের মাধমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দর্শকদের প্রতি প্রতিক্রিয়া, প্রশ্ন, এবং চিন্তা জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে আরও একটি নতুন দিক খুলে দিচ্ছে। ক্রুশ্ণা ও সুনীতার দ্বন্দ্ব কোনভাবে দর্শকদের মনে একটা অব্যক্ত ভাবনা এনে দিচ্ছে যে, শিল্পী হোক বা সাধারণ মানুষ, আমাদের সম্পর্কের ওপরই আমাদের পরিচয় নির্ভর করে।