আজ সকালের সূর্যোদয়ে তৃণমূলের স্বাস্থ্য নেতা ডঃ সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে ইডির হানা সত্যিই আমাদের রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্বের সূচনা করল। উনিশ শতকের জলদস্যুরাও যেমন প্রাসাদ বেষ্টন করে থাকতেন, তেমনি আমাদের নির্বাচিত নেতাদের বাড়ির মধ্যে এখন অন্ধকার ডুবছে; জনগণের স্বাস্থ্য ও নৈতিকতার খোঁজে সংবাদমাধ্যমের চোখও যেন অন্যদিকে। রাজনৈতিক নাটক আর ব্যবসায়ী স্বার্থের মেলবন্ধনে তাই প্রশ্ন জেগে ওঠে—শাসনের এই নিষ্প্রাণ খেলায় আমরা কোথায়?
এখনও রাজনৈতিক নাটক: সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে ইডি-র হানা
আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন নাটক উন্মোচিত হলো। তৃণমূল বিধায়ক ডঃ সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি, যা আবারও বোঝায় যে, রাজনীতির বেশিরভাগ কাহিনী শুধুই নাটক, যেখানে নায়কেরা নিয়মিত দুষ্টু করে চলেন।
নির্দেশিকা কি, পরিণতি কী?
উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলে এই তল্লাশির ফলে স্থানীয়দের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যি কি চিকিৎসা এবং রাজনীতির এই অঙ্গনে কেউ নিষ্কলঙ্ক? এসব ঘটনা কিন্তু বাংলার রাজনীতির নান্দনিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
সুদীপ্ত রায়ের এই ঘটনার মাধ্যমে জড়িয়ে পড়েছে একটি বড়ো সামাজিক ঘটনা। মানুষজনের মধ্যে রাজনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা শুরু হয়েছে, যে বক্তৃতা আবার সেই একই রাজনৈতিক চক্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নার্সিংহোমের মালিকদের ব্যবসায়ী চাহিদা নিয়ে আলোচনা করছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দর্শকরা, তাঁদের চোখে খেলা চলছে নতুন রাজনৈতিক কসরত।
পরবর্তী পর্যায়ের দিকে
এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার ফলে কীভাবে সরকার নিজেদের শক্তি তুলে ধরবে এবং কিভাবে আত্মসমালোচনা করবে। বাংলার মানুষ কি সত্যিই পরিবর্তনের অপেক্ষায়, নাকি তাঁরা আবারও লুকায়িত কৌশলগুলোর দিকে ফিরে যেতে প্রস্তুত? রাজনৈতিক নাটকের এই মোড় ঘুরবে নাকি বাসন্তী গানের সুরে আবারো সেই পুরনো বাঁশির দানা বাজাবে, জানি না।
