গতকাল দীর্ঘ বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে প্রশাসনিক পদবির পরিবর্তন ঘোষণা করলেন। সিপি বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা অধিকর্তার বদলির ঘোষণায় যেনো রাজনীতি আর স্বাস্থ্যসেবার আন্তঃসংযোগে নতুন গতি পাবে—কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে, কি আদৌ বদলাবে জনগণের দুরবস্থা? ভোটের পূর্বে এই নাটকীয়তা জনগণের ভাবনায় কতটুকু প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার।
মমতার ঘোষণার পালে নতুন হাওয়া
গতকাল দীর্ঘ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘোষণা করেছেন, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। সিপি বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে বদলি করা হবে। ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তও সরানো হবে।
রাজনৈতিক নাটক ও জনসমর্থন
শাসকের এই পদক্ষেপ কি আন্দোলনকারীদের জন্য ইতিবাচক? নাকি সরকারী দায়িত্বের প্রতি এক ধরনের ভীতি? সমাজের নব্য ভাবনা এবং গভীর”জবাব”ষ্ট করার সময় এসেছে। জনগণের আবদার কি শেষমেশ শাসকের কর্ণাক্ষেত্রে পৌঁছল?
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সর্বনাশ ও নতুন আশার আলো
স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তার পরিচালনার পরিবর্তন গুলি বর্তমান সরকারের বর্ষাকালীন দাবীকে সামনে নিয়ে আসে। নাগরিক সমাজ কি তাদের সদ্য পাওয়া শক্তিতে চেতনার একটি নতুন অধ্যায় লিখতে পারবে?
যোগ্যতার পরীক্ষা গ্রহণের সময়
মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই পদক্ষেপে রাজনৈতিক নাটক তীব্র হলো। সরকারের দায়বদ্ধতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির যে বিপুল রকম পরিবর্তন, তা কি জনজীবনের আলোকে নতুন এক যুগ সূচিত করবে, নাকি স্রোতের বিপরীতে আরো এক অভিশপ্ত রাতের শুরু?