রণবীর কাপূরের ‘রামায়ণ’ সহ-অভিনেত্রী ইন্দিরা ক্রীশনের কাছে রাহার জন্য বই আনার অনুরোধ নতুনের সন্ধানে বার্তা দেয়। এই ঘটনাটি চলচ্চিত্রের শিল্পী আৰু সমাজের মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে একটি নতুন গল্প তৈরি করছে, তা প্রতিফলিত করে। সিনেমার মাধ্যমে গঠনমূলক চিন্তাভাবনা এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনে অভিনেতাদের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
নিষ্প্রাণ সিনেমার অবারিত আকাশে বিদ্যুতের দ্যুতি: ঋদ্ধির অনুরোধে বইয়ের দ্বারপ্রান্তে ইন্দিরা
সম্প্রতি বলিউডের তারকা রণবীর কাপূর নিজের সিনেমার সহশিল্পী ইন্দিরা কৃষ্ণানের কাছে একটি অদ্ভুত অনুরোধ করেছেন। তিনি প্রার্থনা করেছেন, যেন ইন্দিরা তার নতুন-born কন্যা রাহার জন্য কিছু বই নিয়ে আসেন। কোনো না কোনোভাবে, এই শৈশবের পোক্ত নীতি ও শিক্ষা আদান-প্রদানে আমাদের সমাজের সিনেমার প্রভাব প্রতিফলিত করছে। ঋদ্ধির এই আবেদন একটি মজার রাজনৈতিক উপমা হিসেবে দেখা দিতে পারে—কিন্তু এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও আমাদের আলোর দিকে একটি হতাশাজনক সাইট আছে।
চালাচ্ছে কি বলিউডের পাঠ্যক্রম?
সিনেমার জগতে, অভিনেতাদের পারফরম্যান্স শুধু অভিনয় নয়, বরং তাদের আদর্শও প্রকাশ করে। রণবীরের এই অনুরোধ, যে সন্তানদের জন্য বই নিয়ে আসা, সিনেমার শিল্পের অধিক মাথা ও যুক্তিবিজ্ঞান দিতে পারে। এটি বোঝায় যে, বাংলা সাহিত্য থেকে শুরু করে সংগীত, সিনেমা যেন সন্তানদের সঙ্গে এর চোখে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ, একজন অভিনেতার ক্ষমতা কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্নবোধক সমাজ ও চলচ্চিত্র
বর্তমান সময়ে, যখন সমাজের প্রত্যেকটি বিভাগে পরিবর্তন ঘটে চলেছে, তখন সিনেমা যেন এক দশার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়ায়। ঋদ্ধির এই চেতনার প্রতি মনোযোগ দিলে স্পষ্ট হয়, যে চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি কেবল একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্মও। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী, সিনেমার কাহিনী ও সমস্যার উপর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকের মতো গল্প বলার আহ্বান
যদিও এখনকার সিনেমা অনেক ক্ষেত্রেই বিনোদনের কাল্পনিক দিককে প্রাধান্য দেয়, ঋদ্ধির ভাষ্য থেকে আমাদের মনে হয় যে সিনেমার বিষয়বস্তু আরো মর্মার্থপূর্ণ হতে হবে। শিক্ষিত দর্শকরা এখন গল্পে সংশ্লিষ্টতা প্রত্যাশা করছেন। বরং চালচিত্রের অবকাঠামোতে এর Rodioq সংযোগ স্থাপন করতে পারে না। অধিক প্রকৃতির সাথে।
অভিনেতাদের দায়িত্ববোধ ও সমাজের প্রভাব
এখনকার একটি ছবি তৈরি করতে গেলে কেবল নায়ক বা নায়িকার উপর নির্ভরশীল হতে পারেন না; কাহিনী, চরিত্র এবং তাদের সমাজের উপর চাপ দিন। রণবীরের কথাগুলো, ধর্ম, দর্শন ও মানসিকতার মিশ্রণের ফলে সমাজের আধুনিক চাহিদার প্রতি সন্তুষ্টির রূপরেখা প্রকাশ করছে। যেন সিনেমা হয়ে ওঠে শিক্ষা ও সমাজ পরিবর্তনের একটি মাধ্যম।
শেষ কথা: বাধা পেরিয়ে আগ্রহের পথে
সংক্ষেপে, রণবীর কাপূরের বক্তব্য আমাদের বোঝাচ্ছে, সিনেমা আর কেবল একটি সৃষ্টির মাধ্যম নয়; এটি সমাজের কাঠামোকে উৎসাহিত করতে পারে। চলচ্চিত্রের ভমিকা দর্শকদের জন্য মনের দিগন্তকে প্রসারিত করার স্থল হতে পারে। তাই রণবীর ও ইন্দিরার এই গল্পের ভেতর যে সামঞ্জস্য রয়েছে তা আমাদের ভাবাতেই পারে—কে জানে, হয়তো আগামী প্রজন্মের জন্য এই শিল্প দূরদর্শী পরিকল্পনার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে দিতে পারে।