পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অপভ্রংশ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর তীব্র অভিযোগে আবারও উগ্র রাজনৈতিক নাটক। মদনমোহন মালব্য ও বীর সাভারকরের অসম্মান, যেন আমাদের ঐতিহ্যে শোকের কালো দাগ। সরকারী ইতিহাসবিদ্যার এই রঙ্গমঞ্চে, প্রশ্ন হলো—কে কাকে অভিশাপ দেবে আর কোন সত্যের প্রদীপ জ্বলবে সমাজের অন্ধকারে?
বিজেপির অভিযোগ: ইতিহাসের অপমান
পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ঘনীভূত হয়েছে। বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের—মদনমোহন মালব্য এবং বীর সাভারকারের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গভীর সংকট তৈরি হলো।
প্রচ্ছন্ন হুমকির আবহ
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যাদের সম্মানহানি করা হয়েছে, তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা ভুল বোঝানো হচ্ছে।” সাধারন মানুষের মনে উত্থিত হয়েছে প্রশ্ন, কোথায় যাচ্ছে আমাদের ইতিহাস? পাশ্চাত্যের পাতা থেকে বাংলাদেশকেও হরণ করার জন্য কি কোন তাগিদ?
জনমানসে পরিবর্তন
মহৎ ভাবনা এবং যুক্তির অভাবে আজ আমাদের সমাজে গৃহযুদ্ধের সঙ্কেত। রাজনৈতিক ন্যাক্কারজনকতার কারণে নাগরিক-জীবনে যা ঘটে, তা যে কেবল অশান্তির ডঙ্কা বাজাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি আমাদের ইতিহাসের অঙ্গীকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
গভর্নেন্সের চিত্র
গভর্নেন্সের এই অন্ধকার সময়ে কি ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা সম্ভব? জানি না; তবে একথা নিশ্চিত, রাজনীতি ও সামাজিক ওভারটোনের অঙ্কনে এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের আগামীর ভিত্তি যে কুসংস্কার ও বিতর্কের খেলা, তাইই হবে—এতে সন্দেহ নেই।
