মুম্বাইয়ের ভারতমাতা: চলচ্চিত্রের পুরনো কান্না, নতুন ঝলক নিয়ে আসবে নাকি?

NewZclub

মুম্বাইয়ের ভারতমাতা: চলচ্চিত্রের পুরনো কান্না, নতুন ঝলক নিয়ে আসবে নাকি?

মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক ভারতমাতা সিনেমা হলের রিভাম্পের মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে মুকতা এটু সিনেমাস হালনাগাদ কাজ শুরু করেছে। ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই একক পর্দার হলে মারাঠি চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। শহরের চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য এটি একটি আনন্দের খবর, কারণ পুরনোচিত্রের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের জগৎ তুলে ধরার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে।

মুম্বাইয়ের ভারতমাতা: চলচ্চিত্রের পুরনো কান্না, নতুন ঝলক নিয়ে আসবে নাকি?

বহুত্বের মাঝে ঐতিহ্য: ভারতমাতা প্রেক্ষাগৃহের নতুন অধ্যায়

মুম্বাইয়ের এক ঐতিহ্যবাহী সিঙ্গেল স্ক্রীন সিনেমা হল ভারতমাতা গত কয়েক বছর ধরে অস্থায়ীভাবে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি জানা গেছে, এই হলটি পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এবার খবর এলো যে, মুক্তা A2 সিনেমাস ভারতমাতাকে অধিগ্রহণ করেছে এবং শীঘ্রই এটি আবার চালু হবে।

একটি শিল্পের সূত্র বলেছে বলিউড হাঙ্গামাকে, “ভারতমাতা মুম্বাইয়ের কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী সিঙ্গেল স্ক্রীন সিনেমা হলের মধ্যে অন্যতম। এটি দীর্ঘদিন ধরে নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলি দেখানোর জন্য পরিচিত, বিশেষ করে মারাঠি ছবিগুলোর জন্য। হলটি এখন মুক্তা A2 সিনেমাসের অধিকারী। যদিও এটি স্পষ্ট নয় যে, এটি কখন আবার কার্যকর হবে, তবে মাসের মধ্যে এটি অবশ্যম্ভাবী যে এটি ফিল্ম উপভোগীদের জন্য একটি খুশির খবর।”

ঐতিহ্যের সাক্ষী হল

ভারতমাতা মুম্বাইয়ের oldest সিনেমা হলগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৪১ সালে শুরু হওয়া এই হলটি তখন ছিল লালবাগ-পারেল এলাকার তুলা মিলগুলোর চূড়ান্ত সময়কালে। মজুরি শেষে শ্রমিকরা এখানে এসে আনন্দ স্পর্শ করতে আসতেন। এই হলটির বিশেষত্ব মারাঠি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্রে।

মুক্তা এ২ সিনেমাসের ভবিষ্যৎ

এদিকে, মুক্তা A2 সিনেমাসের নিউ এক্সেলসিয়র, অন্য একটি ঐতিহ্যবাহী মুম্বাই প্রেক্ষাগৃহ, এই বছরের শুরু থেকে অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। আমাদের সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এটি এই মাসের শেষের দিকে কার্যক্রম শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিনেমার নানান দিক

বিনোদনের এই নাট্যশালাগুলি শুধুমাত্র সিনেমা প্রদর্শনের স্থান নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত এক কেন্দ্রবিন্দু। ভারতমাতা প্রেক্ষাগৃহের পুনরায় খোলার খবর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সিনেমা শুধুমাত্র একটি শিল্প নয়, এটি মানুষের অনুভূতি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এই স্থানের পুনরুদ্ধার কেবল চলচ্চিত্র রসিকদের জন্যই নয়, বরং সমাজের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিশেষ করে মারাঠি ছবিগুলোর সুযোগ এবং সাফল্যের দিকে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্প কীভাবে মানুষের চেতনার সাথে সংশ্লিষ্ট। এমন চলচ্চিত্রগুলি কখনও কখনও বড় বাজেটের সিনেমার চেয়ে আরও গভীর এবং সঠিক গল্প তুলে ধরতে সক্ষম হয়।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গতিশীলতা

বর্তমান সময়ে, চলচ্চিত্র শিল্পের বাজারে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। যেখানে দর্শকদের ভাবনা এবং চাহিদা পরিবর্তন হয়েছে, সেখানে কিছু প্রেক্ষাগৃহ তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে। সুতরাং, ভারতমাতা প্রেক্ষাগৃহের পুনরায় খোলার মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রেমীরা একটি নবজাগরণের প্রত্যাশা করছেন।

আমরা যদি বলি, “মানুষ ফিল্ম দেখার জন্য আসেন, সংস্কৃতি উপলব্ধি করার জন্য আসেন,” তবে হবে এটা একেবারেই সঠিক। সুতরাং বর্তমান সময়ের সিনেমা হলগুলোয় পুনরুজ্জীবিত ঐতিহ্য এবং জ্ঞানময় অভিজ্ঞতার কতটা গুরুত্ব, সেটা দাবি করে চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য এই ভারতমাতা প্রেক্ষাগৃহের পুনর্গঠন।

মন্তব্য করুন