বিশ্বভারতী, এই যাত্রায় দেশের কিংবদন্তী গায়িকা এম.এস. সুব্বলক্ষ্মীর ১০৮তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে সেলিব্রেটি অভিনেত্রী বিদ্যা বালান এবংcostume designer অনু পরথাসারথী একত্রিত হয়েছেন। এম.এস. সুব্বলক্ষ্মীর জনপ্রিয় রূপগুলো পুনঃসৃষ্টি করার জন্য তারা উন্মুখ হয়ে আছেন, যা শুধু তার গায়নই নয়, বরং তার সৌন্দর্য ও স্টাইলকেও আবার জীবিত করবে। এই উদ্যোগটি নতুন প্রজন্মের কাছে গায়িকার ঐতিহ্যকে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পে সাম্প্রতিক ধারাকে নতুন আলোয় অন্বেষণ করার সুযোগ।
রবীন্দ্রনাথের ছোঁয়ায়, বলিউডের আলোচনায় এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মীর স্বরবন্দনায় বিদ্যা বালানের সৃজনশীলতা
প্রখ্যাত গায়িকা এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মীর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, বহুমুখী অভিনেত্রী বিদ্যা বালান এবং পোশাক ডিজাইনার অনু পারাথসারথী একত্রিত হয়েছে তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও চেতনা রক্ষা করতে। “আইকনিক স্টাইলসের পুনঃনির্মাণ” শীর্ষক এই ফোটোগ্রাফিক ট্রিবিউটটি ভারতের নাইটিঙ্গেলের অনন্য শৈলী ও আত্মরক্ষার খোঁজে।
বিদ্যা বালান জানিয়েছে, “আমি এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মীকে ভালোবাসি। আমার মা যখন সকালে সুপ্রভাতম গাইতেন, তখন আমি এই গায়িকাকে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মী আমার কাছে এক আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। তাই, আমি অত্যন্ত সম্মানিত যে তাকে এইভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারছি।”
একটি সৌন্দর্য্য ও সততা
অনু, এম.এস. আম্মার নাতনির ছদ্মনাম সিক্কিল মালা চন্দ্রশেখরের নির্দেশনায় তাঁর শৈলীর পুনঃনির্মাণে যুদ্ধ শুরু করেন। প্রখ্যাত গায়িকার পোশাকের জন্য গণনা করেছেন যুগল নকশা এবং ঐতিহ্যবাহী শাড়ি, যা বিশেষ করে মূথু চেট্টিয়ার এবং নল্লি চিন্নাসামী চেট্টির দ্বারা বোনা হয়েছিল।
এই বিপুল প্রকল্পটি জানাচ্ছে ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এম.এস. আম্মার পরিধান করা শাড়ির চারটি বিভিন্ন রূপ। এই শাড়িগুলি তার কনসার্ট চিত্রায়নকে উপস্থাপন করছে। প্রতিটি শাড়ি এর উজ্জ্বল রঙ, জটিল নকশা এবং এক অভিনব ড্রেপিং কৌশলে উপস্থাপিত। অনু পারাথসারথী যথাযথভাবে এই আইকনিক নকশাগুলি পুনর্নির্মাণে ও শিল্পীদের সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করেছে।
ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একত্র
যদি এম.এস. আম্মার চেহারার একদিক ছিল এই সমৃদ্ধ, রঙিন এবং ব্যতিক্রমী শাড়ির উদ্ভট ব্যবহার, অন্যদিক ছিল তার সরল গহনার সমাহার। গহনার মধ্যে উক্ত নাকের পিন এবং মাল্লিপ্পু (বিকেলের ফুল) দিয়ে সাজনো কন্ডাই উল্লেখযোগ্য।
অনু বলেছেন, “এ প্রকল্পে কাজ করা একটি বিশেষ সম্মান ছিল এবং এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মীর ঐতিহ্যকে জীবন্ত করে তোলা। বিদ্যার ভূমিকায় নির্মিত গুণাগুণ এই নির্বাচনের জন্য তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ সেরা করে তোলে। আমি আশা করি এই ট্রিবিউট নতুন প্রজন্মকে তার উত্তরাধিকার মূল্যায়নের জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”
বর্তমান বলিউডের কাঠামো এবং শ্রোতার পরিবর্তনশীল চাহিদা
বোঝা যায়, এই ফোটোগ্রাফিক ট্রিবিউট নয় শুধু এম.এস. সুব্বালাক্ষ্মীর প্রতি শ্রদ্ধা বর্ষণের একটি চেষ্টা, বরং এটি বর্তমান বলিউডের পরিবর্তনশীল গতির একটি নির্দেশক। যেখানে কাহিনী বলার ধরন, সামাজিক প্রভাব এবং মিডিয়া প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা তৈরি হচ্ছে।
এই প্রকল্প ভিন্নরূপের প্রস্তাবনা হিসেবে সামনে এসেছে, যেখানে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা পুরনো আইকনদের সম্মানে নিবেদন করছেন, তা কর্তৃপক্ষকে তাদের সাংস্কৃতিক ধারা পুনরুজ্জীবনের দিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে।